বর্তমানে সরকারি পরীক্ষা ও নিয়োগ যেমন Food SI নিয়ে কিছু না কিছু গরমিল থেকেই যাচ্ছে। যদিও হাতে গোনা কয়েকটা সরকারি পরীক্ষা হচ্ছে তাও কোন না কোন কারণবশত বাতিল হয়ে যাচ্ছে। একরাশ স্বপ্ন আশা বুকে বেঁধে দিনরাত পড়াশুনা করে চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে যায় আর তারপরেই শোনা যায় পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা। এভাবে পরীক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে।
Will The WBPSC Food SI Exam Be Held Again
গত ১৬ এবং ১৭ ই মার্চ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা WBPSC এর মাধ্যমে Food SI বা ফুড এসআই এর যে পরীক্ষাটি হয়েছিল সেই পরীক্ষা নিয়েও উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। এই সমস্ত দুর্নীতির খবর জনসমক্ষে আসার পর পরীক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছে যে আগের ফুড এসআই পরীক্ষাটি ক্যানসেল করে দ্বিতীয়বার যেন পাবলিক সার্ভিস কমিশন আবার ওই পরীক্ষাটি নেওয়া হয়।
তবে পি এস সি চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কি বলছে সেটাই দেখার বিষয়। Food SI তথা ফুড এস আই এর যে পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিল তাতে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল মোট ৪৮০ টি। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী। কিন্ত পরীক্ষার পরই জানা যায় আগে থেকেই নাকি এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি ও প্রমোশন নিয়ে বিরাট সুখবর।
সেই প্রশ্নপত্র চড়া দামে বিক্রি পর্যন্ত হয়েছে। সেটা জানাজানি হতেই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা হলের সামনে অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। এখানেই থেমে থাকেনি পরীক্ষার্থীরা। এরপর ১৯ এবং ২০ মার্চ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে তারা আন্দোলন করে। এরপরই পিএসসি কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেন।
পিএসসি তরফ থেকে জানানো হয়েছে তারাও এমনই দুর্নীতির কথা জানতে পেরেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত সমস্ত জেলা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি। যখন সম্পূর্ণ রিপোর্ট আসবে তারপরই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কর্তৃপক্ষরা মিটিং এর মাধ্যমে আলোচনা করে দেখবে যে আবারও একবার এই পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব হয় কিনা।
পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মী নিয়োগ। বেতন যোগ্যতা ও পরীক্ষার সিলেবাস দেখুন।
তার আগে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় কর্তৃপক্ষের। যদিও তিনি আশা রাখতে বলেছেন এই Food SI পরীক্ষার নিয়োগ কোনো দুর্নীতিমূলক ভাবে হবেনা। এখন দেখা যাক পরিবর্তীতে কোন দিকে রূপ নেয় এই ঘটনা। দ্বিতীয় বারের মতন কোনো পরীক্ষা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে কিনা সেটা এখনও কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেননি পি এস সি চেয়ারম্যান।
Written by Shampa Debnath.