DA তথা Dearness Allowance বাড়ানোর দাবি জানিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অবস্থান বিক্ষোভ, আন্দোলন সেই গত বছর থেকেই হয়ে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দাবিতে তাদের DA বাড়াতে হবে এটাই তাদের আন্দোলনের মূল বক্তব্য। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনোভাবেই এই দাবি মানতে নারাজ। তিনি একটাই কথা বলেছিলেন রাজকোষ পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ নেই যা দিয়ে DA তথা Dearness Allowance বাড়ানো যাবে। তবুও যখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভ, মিছিল এর তীব্রতা বেড়েই চলছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী মাত্র 10 শতাংশ DA বাড়িয়ে দেন।
West Bengal Dearness Allowance Strike Started
যদিও এই বর্ধিত DA তথা Dearness Allowance পেয়ে খুশি নন রাজ্য সরকারি পেনশনভোগী ও সরকারি কর্মচারীরা। কারণ তাদের DA থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের DA ফারাক 36 শতাংশ। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের DA পরিমাণ 46 শতাংশ। এত কম পরিমাণ DA পেয়ে আজকালকার বাজার দর বৃদ্ধির যুগে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই আরও DA তথা Dearness Allowance বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন আন্দোলনকারীরা। আগের মতই শহিদ মিনারে ধর্না মঞ্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন 4 জন আন্দোলনকারী। এমনকি তাদের এই আন্দোলনের পাশে আছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন।
তিনি এই আশ্বাস ও দিয়েছেন যে আন্দোলনকারীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন রাজ্যপালের সাথে। 4 জন আন্দোলনকারী শুধু মিছিল বা বিক্ষোভে থেমে থাকেনি। তারা এবার আমরণ অনশনের দিকে হাঁটতে শুরু করেছেন। সামনেই লোকসভা ভোট। আর ভোটের আগেই DA তথা Dearness Allowance বাড়ানোর দাবি যেন ক্রমশ ভয়ংকর আন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।
রাজ্যের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে চিঠি! হটাৎ এই চিঠির উদ্দেশ্য কি?এটা চাকরি হারানোর ইঙ্গিত না অন্য কিছু?
অনশনকারীদের মধ্যে অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য নামে যিনি ছিলেন তিনি বলেন – “অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মহার্ঘ রিলিফ ছাড়া, আর কোনও তাঁরা বাজার দরে সাথে সংযোগ রেখে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই রিলিফটা বাড়লে রাজ্যের দৈনন্দিন মজুরিও বৃদ্ধি পায়, রাজ্যবাসীরও উন্নতি হয়।’’ সংগঠনের ডাক দিয়েছেন যিনি ভাস্কর ঘোষ বলেন,
“এখন রাজনীতি দেখার সময় নয়, পশ্চিমবঙ্গটা ভাসতে বসেছে। এটা শুধুমাত্র ডিএ-র লড়াই নয়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন যে, তাঁর কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে পরে তাঁদেরকে বরখাস্ত করা হবে, সেই রাজ্যে জরুরি অবস্থার থেকে কম কিছু হচ্ছে না।’’ অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে ভরসা যোগাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যোলের সাথে কথা বলবেন এই নিয়ে যাতে তাদের কথা মন দিয়ে রাজ্যপাল শোনেন।
পশ্চিমবঙ্গের 56J সার্ভিস রুল চালু। সাপ্তাহিক ছুটিতে কোপ, সরকারি কর্মীরা ফাঁকিবাজি করলেই জরিমানা।
তাদের সাথে কথা বলে একটা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সবকিছু মিটিয়ে নেওয়ার আবেদন করবেন তিনি। আন্দোলন যাতে আমরণ অনশনের পথে খুব বেশি দিন স্থায়ী না হয় সেইদিকেই লক্ষ্য রাখতে বলবেন রাজ্য গভর্নরকে। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন দেখা যাক লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকার কতটা বকেয়া DA তথা Dearness Allowance বৃদ্ধি করেন।
Written by Shampa Debnath.