WBP Recruitment Scam – ঠিক কি জানালো হাইকোর্ট জানুন বিস্তারিত।
কিছু বছর ধরেই রাজ্য সরকারের একেরপর এক দুর্নীতি (WBP Recruitment Scam) চলেই আসছে। স্কুল শিক্ষা কমিশনে যে হারে দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি হয়েছে তার শুনানি এখনোও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাছাড়া গরু পাঁচার থেকে শুরু করে কয়লা পাচারেও নাম জড়িয়েছে রাজ্য সরকারের একাধিক নেতা মন্ত্রীদের। এখন নতুন করে আবারও নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ালো রাজ্যের।
শিক্ষার পাশাপাশি এবার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগকে (WBP Recruitment Scam) কেন্দ্র করে দুর্নীতির নাম উঠলো। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি ছিলো এই মামলার। সেই মামলার রায় হিসাবে একটি গোটা প্যানেল কেই বাদ দেওয়ার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিব জ্ঞানম ও হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
রেশন ব্যবস্থায় বড় বদল, কি কি সমস্যায় পড়বে সাধারন মানুষ, দেখে নিন এক নজরে।
জানা যায়, ২০১৯ সালে রাজ্য জুড়ে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ (WBP Recruitment Scam) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় রাজ্য পুলিশ রিক্রুমেন্ট বোর্ডের তরফে। মোট ৮৪১৯ জনকে নিয়োগ করা হবে বলা হয়। আর ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে লিখিত পরীক্ষা হয়। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ একটি প্যানেল করে ৪০২ জনের নিয়োগ হয় । কিন্ত এই নিয়োগ নিয়ে কিছু পুলিশ কনস্টেবল চাকরি প্রার্থী নিয়োগের মধ্যে অস্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলে।
চাকরি প্রার্থীদের দাবিঃ
তারা স্টেট ট্রাইব্যুনাল এ মামলা দায়ের করেন এবং গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া কেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। তাদের দাবি ইন্টারভিউ পরীক্ষার (WBP Recruitment Scam) আগেই কিছু জনের হোয়াটস অ্যাপ এ মেসেজ করে বলে দেওয়া হয় ইন্টারভিউ কক্ষে কারা কারা থাকবেন, কি প্রশ্ন করা হবে ইত্যাদি। আর এমন করা দুর্নীতির মধ্যে পড়ে। এছাড়া নিয়োগ নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলে। বলা হয় সংরক্ষিত অর্থাৎ এস সি , এস টি, তপশিলি উপজাতিরা জেনারেলদের চেয়ে বেশি নাম্বার পেলে তাদের সাধারণের মধ্যেই ধরা হয়। এর ফলে সংরক্ষিত রা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তারা সংরক্ষিত দের আলাদা তালিকা বানানোর দাবি জানায়।
এরপরই রাজ্যের তালিকা খারিজ করে ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, যারা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে। আবার সংরক্ষিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের অভিযোগ, কিছু পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ইন্টারভিউতে প্রচুর নম্বর পেয়েছে। ট্রাইবুনাল পুলিশ কনস্টেবলদের নিয়োগ সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তি শুধরানোর নির্দেশ দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে। এর পরেই প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় মেধা তালিকা। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষণের নিয়ম মেনে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সেখানে চাকরিও পায় অনেকে। সেখানে পুরনো তালিকা থেকে ১৩৭ জন কে বাদ দেওয়া হয়। এছাড়া ২১৭ জন নিজের থেকেই চাকরি থেকে সরে যান। একথা জানান আদালতে রাজ্যের জেনারেল এডভোকেট। তখন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি সেই সময়ে পুরো নিয়োগের ওপর স্থগিতদেশ দেন। কিন্তু বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট এই দ্বিতীয় তালিকাটি খারিজ করে প্রথম তালিকাটিকেই মান্যতা দিয়েছে। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে স্যাট বা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও খারিজ করেছে। ২০২১ সালের ওই তালিকা পুনরুদ্ধার করে সেটা অনুযায়ীই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।”
আদালতের এই রায়ের পর দ্বিতীয় মেধাতালিকার নিরিখে চাকরি পাওয়া ৮৪১৯ জন কনস্টেবলের (WBP Recruitment Scam) মধ্যে কয়েকশো কনস্টেবল চাকরি খোয়াতে পারেন বলে অনুমান। তবে আদালত জানিয়েছে, খালি পড়ে থাকা শূন্যপদে আবার নতুন করে নিয়োগ করতে পারে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।
এছাড়া যে ১৭০, জনকে ইতিমধ্যে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের অন্য কোনো ক্ষেত্রে নিয়োগ করার সুপারিশ করেন হাইকোর্ট।
Written by Shampa Debnath