WBHS Scheme: রাজ্য সরকার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর দিতে চলেছেন। একদিকে যেমন সরকারি কর্মীরা দীর্ঘ দিন ধরে ডিএ বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে চলেছেন। যদিও রাজ্য সরকার বাজেট পেশের সময় ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছিলেন। তারপর রাজ্য সরকার যদিও আর কোনো ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেননি।
WBHS Scheme – স্বাস্থ্য প্রকল্প
লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতন জয়লাভের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সরকারি কর্মীদের জন্য একটি বড়সড়ো পদক্ষেপ নিলেন। এই পদক্ষেপের ফলে বাংলার রাজ্য সরকারের কর্মীরা অনেকটাই খুশি। সরকারি কর্মীদের বেতন ছাড়াও নানা রকম ভাতা দিয়ে থাকেন সরকার। তাদের মধ্যে রয়েছে গাড়ি ভাড়া ভাতা, বাড়ি ভাড়া ভাতা , এছাড়া ভ্রমণ ভাতা।
এছাড়াও সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ভাতাও দিয়ে থাকেন। রাজ্য সরকারের এই রাজ্যের কর্মীদের জন্য যে স্বাস্থ্য স্কিম চালু করেছেন তার মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কোনো বড়সড়ো রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালের খরচ বাবদ যা ব্যয় হবে তার ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকার দিয়ে দেবে। তবে সম্প্রতি এই স্বাস্থ্য স্কিমে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যা শুনলে সরকারি কর্মচারীরা অনেকটাই খুশি হবে।
রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর এর মেডিক্যাল সেল পশ্চিমবঙ্গ আরো কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হলো। যার ফলে লাভবান হবেন সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং তাদের পরিবার ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস পরিষেবা পেতে পারেন। তবে সমস্ত সরকারি কর্মী এই পরিষেবা পেতে পারেন না যদি না সেই হাসপাতাল অর্থাৎ যে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসারত রয়েছেন সেই হাসপাতাল যদি এই স্বাস্থ্য স্কিমের সাথে অন্তর্ভুক্ত না থাকে।
এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কোনো হাসপাতালের কোনও সরকারি কর্মীর চিকিৎসার খরচ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে কর্মীকে হাসপাতালের কোনও বিল মেটাতে হয় না। এবার সেই পরিসরে আরেকটু বিস্তৃত করা হলো অর্থাৎ আরও কিছু হাসপাতালকে এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। দেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।
জেনে নেওয়া যাক কোন কোন হাসপাতাল রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রকল্পের অন্তর্গত হতে চলেছে। নতুন এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য স্কিমে যুক্ত হওয়া নতুন হাসপাতালগুলি হল কলকাতা কিডনি ইনস্টিটিউট (কালিকাপুর), তপোবন হাসপাতাল (দুর্গাপুর), টেকনো ইন্ডিয়া ডামা হেলথকেয়ার সেন্টার (ইএম বাইপাস), আরামবাগ ডায়াগ্নস্টিক (আরামবাগ), এএসজি হাসপাতাল (বিটি রোড)।
এছাড়াও এএসজি হাসপাতাল (দেশপ্রাণ শাসমল রোড), হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট (শিলিগুড়ি), জ্যোতির্ময় আরোগ্য ভবন (চণ্ডীতলা, শ্রীরামপুর), মেডিট্রাস্ট ডায়াগ্নস্টিক (কাশিপুর রোড, দমদম)-কেও স্বাস্থ্য স্কিম এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সরকারি কর্মীর হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ ২ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই তার চিকিৎসা হয় কিন্তু যদি কোন কারনে হাসপাতালের বিল ২ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তাহলে সেই বিল সরকারের কাছে জমা করলে পরে রিইম্বার্সমেন্টের মাধ্যমে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে পড়ুয়াদের একাউন্টে টাকা দেওয়া শুরু! কারা পাবে দেখেনিন?
তবে শুধুমাত্র হাসপাতাল গুলোকে এই প্রকল্পের যুক্ত করা হয়েছে তা নয় কিছু বিশেষ রোগ রয়েছে সেই রোগে আক্রান্ত হলেই এই সুবিধা পাবেন সরকারের কর্মীরা। অর্থাৎ দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।
গত বছরই আরো ১৭ টি রোগকে এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে স্ক্রিমের আওতায় চিকিৎসার জন্য সরকারি কর্মীরা একটি বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পেরেছিলেন। এবার যেন সেই সুবিধা আরো বেশি মাত্রায় পাওয়া যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকার কর্মীদের চিকিৎসার জন্য উন্নত পরিষেবা পাওয়ার একমাত্র উল্লেখযোগ্য স্কিম হল এই রাজ্য স্বাস্থ্য প্রকল্প। এর মাধ্যমে অনেক রাজ্য সরকারি কর্মী অনেকটাই আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। আগামীতে এই স্বাস্থ্য প্রকল্প আরো বিস্তৃত লাভ করার জন্য তাদের অনেকটাই সুবিধা হলো। আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রকল্পের ওয়েবসাইট এই লিংকে ক্লিক করলেই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আরো এমন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য চোখ রাখুন এই পেজে।
Written by Shampa Debnath.