বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান যদিও সামাজিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় তবুও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে Marriage Registration করাটা বাধ্যতামূলক। অনেকেই আছেন যারা বিয়ের দিনেই রেজিস্ট্রেশন করেন অনেকে আবার বিয়ের আগেই রেজিস্ট্রি করে রাখেন। সবচেয়ে বেশি বিয়ে হয় ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে। তেমনই এই ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রায় 1100 জনের রেজিস্ট্রি অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছিল। কিন্ত সেই আবেদন এখনো গ্র্যান্ড হয়নি। কারণবশত বলা হচ্ছে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
West Bengal Marriage Registration Genarel Office
আর সেজন্যই আপাতত স্থগিদ করে দেওয়া হয়েছে বিবাহ রেজিষ্টেশন তথা Marriage Registration. আগামী 4 দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ জানুয়ারির 2 থেকে 5 তারিখ অবধি বন্ধ থাকবে। 6 জানুয়ারি পুনরায় রেজিস্ট্রশন চালু হবে। এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করেছে “ওয়েস্ট বেঙ্গল ম্যারেজ রেজিস্ট্রার জেনারেল” এর অফিস। যদিও পৌষ মাস চলছে এখন।
হিন্দু বিবাহ অনুযায়ী পৌষ মাসে কোনো সামাজিক বিয়ে হয়না। কারণ এই মাসটি মল মাস হিসাবে ধরা হয়। কোনো শুভ অনুষ্ঠান এই মাসে হয়না। তবুও Marriage Registration করলে চাইলে করা যেতেই পারে। সেই অনুযায়ী অনেক হবু বর কনে আইনি মতে বিয়ে সেরে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন রেজিস্ট্রি অফিসে। কিন্ত তাদের অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে দিল রেজিস্ট্রি অফিস।
আজ পর্যন্ত এমন টানা চারদিন রেজিস্ট্রি অফিস বন্ধ থাকতে দেখা যায়নি। এর আগে অনেকসময় তিন চার ঘণ্টার জন্য পোর্টাল বন্ধ রাখা হয়েছিল কিন্তু এমন চারদিন পোর্টাল বন্ধ যেন নজিরবিহীন ঘটনা।
সূত্রের খবর, যে অনলাইন পোর্টাল মারফত রেজিস্ট্রির কাজ করা হয়, তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে এই কয়েকদিন। সেই কারণেই এমন নির্দেশ।
পশ্চিমবঙ্গে ছুটির নিয়মে বড়সড় রদবদল। সুবিধা হল লক্ষ লক্ষ কর্মীদের।
এই বছর এত পরিমাণ রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে যে পোর্টাল এর সমস্যা হয়ে পড়েছে। সেই অবস্থায় পোর্টাল রক্ষণাবেক্ষণ আগে করা দরকার। তাই পোর্টাল পুনরায় ঠিক না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো আবেদন জমা নেওয়া হবেনা। নতুন যারা অ্যাপ্লিকেশন দেবে তাদের একটু অপেক্ষা করে যেতেই হবে। এমনই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অফিস।
সম্ভবত, 2019 সাল থেকেই Marriage Registration জন্য আবেদন পদ্ধতি অনলাইন মাধ্যমেই করা হয়। স্বভাবতই সাইটে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চললে সেখানে রেজিস্ট্রির কাজ করা যাবে না। আর এই পোর্টাল বন্ধ হওয়ার নির্ধারিত দিনের মাত্র 3 দিন আগে এই সংক্রান্ত নোটিস জারি করা হয়। অথচ এর মধ্যেই অনেকেই আইনি ভাবে রেজিস্ট্রি করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিলেন.
বছরের শুরুতেই নতুন চমক! আবারও দাম কমতে চলেছে রান্নার গ্যাসের।
তাই সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে অনেকেই বিপদে পড়েছেন। এছাড়া 2022 সালের 1st নভেম্বর থেকে বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইকরণ পদ্ধতি চালু হয়েছে। অনেকসময় বর কনের ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে মেলেনা ফলে নির্ধারিত দিনে রেজিস্ট্রেশন হয়নি।
তবে এই চারদিন বন্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি অসুবিধার পড়তে হবে যে সমস্ত হবু বর কনে এই চারদিনের মধ্যে রেজিষ্টেশন করবে বলে ঠিক করেছিলেন তাদের। তবে এই কথা স্বীকার করেছেন নবান্ন তরফে। যত দ্রুত পোর্টাল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী।
Written by Shampa Debnath.