DA Case Update – পশ্চিমবঙ্গের ডিএ মামলাই ডিএ পাওয়ায় বাধা? সামনে এলো নতুন তথ্য!

DA Case Update: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে DA বাড়ার দাবিতে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ, মিছিল, মিটিং ও আন্দোলন মামলার রূপ নিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদিও কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ এবং অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করেছেন তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার আগের সিদ্ধান্তেই স্থির রয়েছেন।

DA Case Update – ডিএ কেস আপডেট

বছর শুরুর সময়তেই বাজেট পেশের সময় মাত্র ৪ শতাংশ DA বাড়িয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যার ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ১৪% ডিএ পেয়ে থাকে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা পাচ্ছেন ৫০ শতাংশ ডিএ। রাজ্য সরকারি কর্মচারী আর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ফারাক বেশ অনেকটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২০ মে প্রথম ডিএ মামলা হাইকোর্টে ওঠে এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রায় ঘোষণা হয় যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA মিটিয়ে দিতে হবে সেই সাথে ডিএ পরিমাণ বাড়িয়ে ৩১ শতাংশ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে এই রায় স্বীকার করে নেননি রাজ্য সরকার। এরপর রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের মামলা দায়ের করলে কিন্তু সেই মামলার শুনালির ডেট একের পর এক পিছিয়ে যাচ্ছে।

ফের আবারো শুনানির ডেট পিছিয়ে গেল। প্রায় ১১৯ দিন পর সোমবার ডিএ মামলা শুনানি ওঠার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে অন্যবারের মতন এবারও শুনানি হল না। প্রত্যেক বারই শুনানির ডেটে কোনো না কোনো কারণে রাজ্য সরকার পরবর্তী ডেট চেয়ে নিচ্ছেন আর এভাবেই ডিএ মামলাকে ঝুলিয়ে রাখছেন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা প্রত্যেকটি শুনানির ডেটে হয়তো ভাবেন আজকে বুঝি এতদিনের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে কিন্তু তারপরেই তাদের অপেক্ষার প্রহর আবার গোনা শুরু করতে হয়।

কিন্তু কথা উঠছে, কেন বারবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে ? সূত্র অনুযায় জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে ১২ বার DA মামলা শুনানি পিছিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের রায় ঘোষণা করার সময় থাকে চারটা পর্যন্ত। কিন্তু প্রত্যেকবারই সময়ের শেষের দিকেই ডিএ মামলা আদালতে ওঠে। এইবারও সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ যখন আদালতে ডিএ মামলা ওঠে তখন সেই মামলা বিস্তারিত ভাবে বলার জন্য আরো সময় চেয়ে নেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংঘভি।

এবং তার কথায় তিনি বলেন এত কম সময়ে এত বড় মামলা শুনানি সম্ভবপর নয় তাই আরো কিছু সময় চেয়ে নেন বিচারকের কাছ থেকে। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম তরফে জানা যায় সোমবারের এই মামলাটি ৬০ নম্বরে নথিভূক্ত ছিল। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ নম্বর আদালতকক্ষে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। আর এটিই ছিল সোমবারের সর্বশেষ মামলা।

আরও পড়ুন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই তিনটি সরকারি ব্যাংক একত্রিত হয়ে কাজ করবে

যখন রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের আইনজীবী এ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সওয়াল করছিলেন অন্যদিকে রাজ্য সরকারি আইনজীবী আরো কিছুটা সময় চেয়ে নেন। এদিকে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আইনজীবির কথাতেই মান্যতা দিয়ে জানায় এত কম সময়ের মধ্যে এত বড় বাংলার নিষ্পত্তি সম্ভব নয় তাই আরো একদিন সময় প্রয়োজন। তবে কোনদিন আবার শুনানির ডেট রয়েছে সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি।

শুধু বিচারকের কথা অনুযায়ী ডিএ মামলার শুনানির জন্য বিস্তারিত সময়ের প্রয়োজন। অন্য দিকে কনফেডারেশনের আইনজীবী, এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেন। তবে আবার কবে ফের শুনানির ডেট রয়েছে তা জানা যাবে দু সপ্তাহ পর ততদিন পর্যন্ত আদালত ডিএ মামলার শুনানিকে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এই সোমবার তাই প্রত্যেকবারের মতো রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বুকভরা আক্ষেপ নিয়েই ফিরে আসেন সেইসাথে পরবর্তী শুনানির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন পথ খুঁজে পান না।
Written by Shampa Debnath.

Leave a Comment