Today Mustard Oil Price in Kolkata.
প্রতিদিন যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে (Mustard Oil Price) তাতে সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই চিন্তার বিষয়। আর শীতকালের সবজি টমেটো, মটরসুটি এগুলোর দাম বেড়েই আছে এখনো। কিন্ত হটাৎ করেই ভোজ্য তেলের দাম কমেছে। শুধু তাই নয়, আমদানি করা ভোজ্য তেলের দামও কমে যাচ্ছে সূত্রের খবর। আসলে আমদানিকারীরা দামের থেকেও ২-৩ টাকা কম দামে এই ভোজ্য তেল বিক্রি করছেন বলে খবর।
শোনা যাচ্ছে, একাধিক বন্দর থেকে অনেক কম দামে ভোজ্য তেল (Mustard Oil Price) আমদানিকারীরা বেচে দিচ্ছেন। জানা যাচ্ছে, তেল ব্যাবসায়ীদের অনেক ঋণ থাকায় তারা কম দামে আমদানি করা তেল বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। নিজেরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য কম দামে আমদানি করা তেল বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। আর এই জন্যই এত কম হয়েছে তেলের দাম। সর্ষে, বাদাম, সানফ্লাওয়ার যেগুলো থেকে তেল উৎপন্ন হয় সেগুলোর মূল্য কমে বিক্রি হচ্ছে।
গতবছর ২.৭ লাখ হেক্টর জমিতে তৈলবীজ চাষ হয়েছিল। সেটা এবার এসে দাড়িয়েছে ১.৮০ লাখ হেক্টর। অর্থাৎ চাষের জমি ও কমে গিয়েছে। সূর্যমূখীর চাষও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতবার ৪১,০০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। এবার সেটা কমিয়ে ৩৭,০০০ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে। তবে ভোজ্য তেলের চাহিদা (Mustard Oil Price) আবার ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে এবার। যদিও চাষের জমি নেই, বা অন্যান্য অসুবিধা থাকলেও চাহিদা বাড়ায় ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা কমেছে।
ডিসেম্বর মাসে টানা 6 দিন ব্যাংক ধর্মঘট, বন্ধ থাকবে সব ব্যাংক, আজই সেরে ফেলুন সব জরুরী কাজ।
এছাড়া তেল ছাড়াও যেটা খুবই গুরত্বপূর্ণ খাদ্য ঘি-এর দাম প্রতি টিন ১৭৮৫ থেকে ১৮৯৫ কমে গিয়েছে। সর্ষের দামও প্রতি কুইন্টাল ৫৬৫০ থেকে ৫৭০০ হয়ে গিয়েছে। সর্ষের দাদ্রি তেলও ২৫০ টাকা কমে প্রতি কুইন্টালে ১০,৫০০ টাকা হয়েছে। ১৫ কেজির টিন হিসাবে সর্ষের পাক্কির দাম ১৭৮৫-১৮৮০ টাকা আর কাচ্চি ঘানির তেল ১৭৮৫-১৮৯৫ প্রতি টিন। সোয়াবিন দিল্লি, সোয়াবিন ইন্দোর আর সোয়াবিন দেগাম তেলের দাম যথাক্রমে প্রতি কুইন্টাল ১০,৪০০,১০,২০০ ও ৮৮৫০ টাকা করে।
দাম শুনে সাধারণ মানুষের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটবে। কারণ বাজার গেলেই প্রত্যেক ব্যক্তির মাথায় টাকার চিন্তা ঘোরে। আর অনেক টাকা নিয়ে গেলেও দেখা যায় কিছু টাকা ফেরে বাজার থেকে। এতটাই বৃদ্ধি হয়েছে প্রত্যেক জিনিসের দাম। তাই কোনো একটা বা দুটো জিনিসের দাম কমলেও সেটা সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই স্বস্তির বিষয়।
Written by Shampa Debnath.