মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছিল। এই প্রকল্পের অন্তর্গত সমস্ত রাজ্য বাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়।
১৯৭০’এর দশকের সময় একটা খুব প্রচলিত হিন্দি কথা ছিল “রোটি, কাপরা, মাকান জারুরি হে জিনে কে লিয়ে” অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য রুটি, কাপড়, বাড়ি প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আপনার আছে তো?
সময় গরানর সাথে সাথে এর সাথে স্বাস্থ্যও জুড়ে গেছে। সেই কথা মাথায় রেখে এই “স্বাস্থ্যসাথী” প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সকল নাগরিকদের বিনামূল্যে সমস্ত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধিনে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২.৪ কোটি মানুষের নাম নথিভুক্ত হয়েছে।
এই প্রকল্পের অন্তর্গত প্রতি পরিবারের সদস্যদের বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার ব্যবস্তা করে দেওয়া হবে। এই কার্ড পশ্চিমবঙ্গের সকল নাগরিকের জন্য বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিভাবে এই স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড আপনি কিভাবে বানাবেন আগে জেনে নিন। বর্তমানে যে কোনো দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে আপনি নিয়ম মাফিক নিজের এই কার্ড বানিয়ে নিতে পারবেন।
এই কার্ড বানানোর মূল শর্ত হচ্ছে যে পরিবারের মূল মহিলা সদস্যার নামে এই কার্ডটি বানাতে হবে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোন এক সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে হাসপাতালে আপনি ভর্তি হতে চাইছেন সেই হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
নইলে আপনি এই সুযোগ পাবেন না। যত দিন যাচ্ছে ততো মানুষের রোগ বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসার খরচ চালাতে নাজেহাল গরিব থেকে মধ্যবিত্তরা। আর এমন অবস্থায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মানুষের অনেক কাজে লাগছে বলে মনে করছেন অনেকে। এখনকার দিনে প্রতি ঘরে হৃদ রোগের ঝুকি অনেকটাই বেড়েছে।
আর এই রোগের চিকিৎসা ঠিক মতো না করলে অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি অনেক সুস্থ সবল ও সমাজের নাম করা লোকেরা এই হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন। এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে মুল রুপে আপনি হৃদ রোগের চিকিৎসা করাতে পারবেন।
এই হৃদ রোগে আক্রান্ত হলে খুব দ্রুত চিকিৎসা করানো প্রয়োজন নইলে আঁচিরেই মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। তাই বলে এই নয় যে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে শুধু হার্টের চিকিৎসা আপনি করাতে পারবেন, যে কোনো রোগের জন্যই এই কার্ডটি ব্যবহার সম্ভব।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে আপনি হৃদ রোগের চিকিৎসা করাতে চাইলে আপনি ৬০,০০০ টাকা পাবেন। তাই আর দেরি না করে বর্তমানে ৩০’শে নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত চলা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে এই কার্ড বানিয়ে নিন। দেরি করলে হতে পারে সমস্যা।