Swasthya Sathi Card New Rules.
কেন্দ্র থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে একাধিক প্রকল্প এনেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রকল্প হলো (Swasthya Sathi) স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। রাজ্যের গরিব মানুষরা যাতে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন সে জন্য মুখ্যমন্ত্রী এই বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করেছিল। রাজ্যের মানুষ এই কার্ড দিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারে। ফলে যারা অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে আছে তাদের এই কার্ড অনেকটাই সহায়তা করেছে। গত কয়েক বছরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করে রাজ্যের কোটি কোটি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পেরেছেন।
তবে এবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে (Swasthya Sathi) কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হলো। নিয়ম পরিবর্তন করে নতুন নিয়ম জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। আর এই নিয়মে আগের চেয়ে কিছু কম সুবিধা পেতে চলেছে সাধারণ মানুষ। কোন কোন নিয়মের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা হলো? চলুন বিস্তারিত জেনে নিন।স্বাস্থ্য দপ্তরের নতুন নির্দেশিকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের উপর একাধিক সুবিধা কমানো হয়েছে। এর ফলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi) দেখিয়ে সরকারি সহ বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা করানো যেত। তবে নতুন নির্দেশিকায় কমছে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুবিধা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অস্ত্রোপচার করা যাবে না। কার্ডের মাধ্যমে হাড়ের অস্ত্রোপচার করাতে হলে যেতে হবে সরকারি হাসপাতালে।
কিন্তু কোনো এমারজেন্সি ঘটনা হলে, অর্থাৎ, যে সমস্ত রোগী পথদুর্ঘটনায় আহত হবেন, তারা কার্ড ব্যবহার করে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অস্ত্রোপচার করতে পারবেন। এছাড়া যদি কোনো সরকারি হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো না থাকে তাহলে ঐ রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য পাঠানো হবে সেখানে রেফারেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অস্ত্রোপচার করা যাবে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা প্রতিটি জেলা অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন হটাৎ নিয়মের বদল হলোঃ
আসলে রেশন, শিক্ষার মতো স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) প্রকল্পও জড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতিতে। একদল অসৎ মানুষ অতিরিক্ত অর্থ লাভ করতে স্বাস্থ্য সাথী নিয়েও দুর্নীতি করে চলেছেন। দুর্নীতি রুখতে রুখতে এই পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য ভবন তথা রাজ্য সরকার।
আরো একটি বড়ো নিয়ম পরিবর্তন করা হলো সেটি ডাক্তারদের জন্য। এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে স্বাস্থ্য সেবা দেবার জন্য ডাক্তারদের পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম করতে হবে। তবেই তিনি এই প্রকল্পে রুগীদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারবেন। এমনকি তিনি যদি ভিনরাজ্যের ডাক্তার হন তার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। তাকেও কাজ শুরু করার ৬ মাস আগেই পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
জানুয়ারী থেকে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে ভর্তির নতুন নিয়ম। শিক্ষা দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি।
জানা যাচ্ছে কোনো চিকিৎসার ভুল বা বিলের ত্রুটি এসব কারণে যখন সেই নির্দিষ্ট ডাক্তারের খোঁজ করা হয় তখন তারা শুধু মাত্র রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে দেওয়ার জন্য তাদের খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়। কখনো সেই রেজিস্ট্রেসন নাম্বার অন্য রাজ্যের হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই এবার থেকে যারা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে সেবা দেবেন তাদের নাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিষ্টেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া কোনো বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতালে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ডাক্তার সেবা দিতে পারবেন না। সেটাও এই নিয়মের মধ্যে রয়েছে।
Written by Shampa Debnath.