সরকারি কর্মীদের সুখবর, ডিএ ঘোষণা ও বেতন বৃদ্ধির (Salary Increase) সম্ভাবনা।
মাস কয়েক পরেই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। দিল্লির ক্ষমতা ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের জন্য (Salary Increase) সুখবর দিতে পারে মোদি সরকার। যার ফলে ডিএ বৃদ্ধি থেকে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিউমার্কেট লিংক পেনশন স্কিম (NPS) এর নিয়মে পরিবর্তন আনার। পুরনো পেনশন স্কিমের নিয়মে বদল আনতে চলেছে মোদি সরকার।
ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে নতুন পেনশন স্কিম তৈরি করা নিয়ে পর্যালোচনা কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই মনে করা হচ্ছে, যত শীঘ্র সম্ভব নতুন পেনশন স্কিম (New Pension Scheme) চালু হয়ে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই এই নতুন পেনশন স্কিম চালু হয়ে যাবে।
দেশের ও বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড়, রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড পুরনো পেনশন স্কিম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, নতুন পেনশন স্কিম চালু হলে সরকারের বাজেটের উপর তেমন চাপ পড়বে না।
কেন্দ্রীয় সরকারী আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নতুন পেনশন স্কিমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের শেষ বেতনের (Salary Increase) উপর ভিত্তি করেই পেনশন চালু করা হবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ মিনিমাম পেনশন পাবেন।
এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, জুলাই মাসের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি কর্মচারীদের DA-র দ্বিতীয় কিস্তি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করতে পারে। তার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর (Salary Increase Fitment Factor) বাড়ানো হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং অবসর প্রাপ্ত পেনশনভোগীরা সেই আশাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
যেহেতু সামনের বছর লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election) তাই তার আগে মোদি সরকার তাদের জন্য বেশ কিছু সুখবর ঘোষণা করতে পারে বলেই তারা মনে করছেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা তাদের শেষ বেতনের উপর ভিত্তি করেই নতুন পেনশন প্রকল্পে পেনশন পেতে পারেন। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ পেনশন অফার করা হতে পারে।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা না করা হলেও অনুমান করা হচ্ছে, DAর দ্বিতীয় কিস্তি বৃদ্ধি এবং ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়ানোর বিষয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগেই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদি সরকার।
কিছুদিন আগেও সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন পে কমিশন (Salary Increase Pay Commission) গঠনের ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে। কারণ সরকারি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী, পে কমিশনের কাঠামো অনুযায়ী স্যালারি এবং অন্যান্য ভাতা সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন সরকারি কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন, 32000 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলায় নয়া মোড়, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস!
এবার একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। সেখানে মনে করা হচ্ছে, নতুন পে কমিশন গঠিত হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যদিও এই বিষয়ে কোনো কিছুই জানা যায়নি। তবুও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এই সংক্রান্ত খবর মিলেছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মচারীরা ডিএ বৃদ্ধি (DA Salary Increase) নিয়ে আন্দোলন কর্মবিরতি (DA Movement) চালিয়েই যাচ্ছেন।
দীর্ঘদিন হল তাদের এই DA বৃদ্ধির আন্দোলন চলছে। কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে,এই দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি করছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তারা আবার সম্প্রতি জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নেবেনা। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচন একেবারে দোরগোড়ায়। দিন কয়েক পরেই সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রাজ্য সরকারের তরফে এক কিস্তি DA দেওয়া হলেও সেই বৃদ্ধিতে (Salary Increase) তারা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকাঠামো আর রাজ্য সরকারের পরিকাঠামো এক নয়। তাই রাজ্যের চাকরি করে কেন্দ্রীয় হারে DA দাবী করা যায় না। তবুও রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা নাছোড়বান্দা। তাদের সেটাই চাই। যদিও এর মধ্যেই সরকারি কাজকর্ম প্রায় স্বাভাবিকভাবেই চলছে। এই DA আন্দোলনের রেশ কোনোভাবেই পড়েনি।