চরম সঙ্কটে 2016 র Primary TET প্যানেল, 2017 তে জয়েনিং প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে টানা টানি।

Primary Tet নিয়ে ঝামেলার অবসান নেই। যখন থেকে নিয়োগ হয়েছে তখন থেকে এই নিয়ে সমস্যা। এই নিয়ে চাকরি বাতিলের খারা ঝুলছে ৪৩,০০০ কর্মীদের ওপর। TET – Teacher Eligibility Test যেই পরীক্ষার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই পরীক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অধিনে নেওয়া হয়ে থাকে।

Primary Tet নিয়ে কী জানালো হাই কোর্ট দেখেনিন।

আর ২০১৫ সালের Primary Tet পরীক্ষা নিয়ে তার পরের বছরে প্যানেল বানিয়ে নিয়োগ করার পরে শুরু হয় সকল বিতর্ক। এই নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ আসছে। এই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই নিয়োগ বাতিলের হুশিয়ারি দিয়েছে আদালত। ২০১৬ সালের টেটের মাধ্যমে প্রায় ৪৩,০০০ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে।

কিন্তু এই Primary Tet নিয়োগের বেশিরভাগই দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের। অনেকে যোগ্য প্রার্থী হয়েও চাকরি পায়নি। তারাই সকলে একসাথে আদালতের দারস্ত হয় সুবিচার পাওয়ার জন্য। এই সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখে বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নিজের রাগ প্রকাশ করে বলেন- “গোটা প্যানেল টাই বাতিল করে দেব ঠিক করে তদন্ত না হলে”।

নতুন নিয়মে প্রকাশিত হল প্রাইমারি টেট এর অ্যাডমিট কার্ড। এক ক্লিকেই কীভাবে ডাউনলোড করবেন?

এই মন্তব্যকে খুব তাৎপর্য পূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিগত মঙ্গলবার আদালতে এই Primary Tet মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছিল। এর আগের সুনানি গুলোতে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব পর্ষদকে সাফ নির্দেশ দিয়েছিল আগের প্যানেলের শিক্ষক নিয়োগের সকল শিক্ষকের নাম, নাম্বার সহ সমস্ত কিছু ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

এই কাজ করে অনেকে ভেবেছিলেন সকল সমস্যা মিতে যাবে কিন্তু ঝামেলা আরও বেড়ে যাবে। এই তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ ওঠে ৩২,০০০ জনকে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে।
TET এ বঞ্চিতদের আদালতে দাবি অনুসারে সাদা খাতা জমা দিয়ে অনেকে চাকরি পেয়েছে। এছাড়াও কেউ বাড়ি বসে আবার কারোর পরীক্ষার শিটে পরে নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টে এই শুনানির চলা কালিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাদের প্রকাশিত নম্বরের তালিকায় কিছু ভুল আছে। আর এই কথা শুনে রক্তচক্ষু আদালতের।
এই সকল কারচুপির অভিযোগ ওঠার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই প্যানেল বাতিলের হুশিয়ারি দিয়েছেন। তার সাফ কথা পর্ষদের পক্ষ থেকে অনেক তাল বাহানা করা হয়েছে।

আর সহ্য করা যাচ্ছে না। টেট তদন্ত নিয়ে এই ঢিলেমি আর বরদাস্ত করা হবে না। ঠিক করে তদন্তে সহযোগিতা না করা হলে এই পুরো প্যানেল কেই অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে সত্যিকারের যারা নিয়োগ চাকরির পরীক্ষা দিয়ে পাস করেও চাকরি পায়নি তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে এই জিনিস বন্ধের প্রয়োজন।

এ রাজ্যে স্কুলে আবারও শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এখনই আবেদন করুন।

এই কথা মেনে নিয়েছে স্বয়ং বিচারপতি টাই তার এই রুদ্র রুপ বলে মনে করছেন অনেকে। হাইকোর্টের বিচারপতির এই নির্দেশে চিন্তায় ৪৩,০০০ চাকরি প্রার্থীর যারা ২০১৬ সালের প্যানেলের সাহায্যে চাকরি পেয়েছেন। এরই মধ্যে অনেকের মত, যারা সত্যি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তারা কেন শাস্তি পাবেন? সকলেই আমরা অপেক্ষা করছি সত্যের জয় দেখার জন্য। TET দুর্নীতি নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এই সম্পর্কে আরও আপডেট এর জন্য সঙ্গে থাকুন।

Leave a Comment