প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা – 2023 সাল থেকে রেশন কার্ড থাকলেই বিনামূল্যে পাবেন সমস্ত মুদি মাল।

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় এই বছর কি কি সুবিধা পাবেন দেখুন।

২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা সহ আরও ঘোষণা করা হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। নতুন বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে লাভবান হতে চলেছেন দেশের ৮০ কোটির বেশি নাগরিকরা। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে সারা দেশে করোনা মহামারী চরমে উঠলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফ থেকে এই বিনামূল্যে চাল – গম দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আধিকারিক নাম “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান অন্ন যোজনা”।

এই প্রকল্পের অধীনে ৫ কিলো চাল আর গম আর ১ কিলো ডাল দেওয়া হত। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা প্রকল্পটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অন্তর্গত। প্রথম ধাপে এই প্রকল্পে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০২৩ সালেও এই “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা” চালু থাকবে বলে নিজেদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্যমন্ত্রী শ্রীমান পীযূষ গয়েল।

8 টি প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েত ভোটের আগেই একাউন্টে ঢোকানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।

তার মত অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ৮০ কোটি গরিব নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। বর্তমানে “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা” মাধ্যমে চাল – গম কিনতে হলে ৩ টাকা কিলো চাল ও ২ টাকা কিলো গম দেওয়া হত। কিন্তু এই ঘোষণার পরে গ্রাহকদের কোন ধরনের টাকা দিতে হবে না। এই সকল খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে।

২০২০ সাল থেকে এই প্রকল্প চালুর পর থেকে টানা ২ বছর এই প্রকল্প চালানো হয়েছে। ৩১ শে ডিসেম্বর ২০২২ এ শেষ হতে চলেছে। এর পরে ২০২৩ এর শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা জানতে চাইলে অনেক বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে, এখন ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনে করোনা ভাইরাসের এক নতুন প্রজাতি সামনে এসেছে।

রেশন কার্ড থাকা সত্বেও পাচ্ছেন না খাদ্য সামগ্রী? এই কাজটি না করলে সারা জীবনেও পাবেন না চাল, গম।

এই নিয়ে চিন্তায় কেন্দ্রীয় সরকার সহ সকল রাজ্য সরকার। ভবিষ্যতে এই করোনা পরিস্থিতি দেশে ভয়াবহ হয়ে উঠলে এই সিদ্ধান্ত নাগরিকদের সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। লকডাউন করার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। কিন্তু আগের মত পরিস্থিতি ঘটলে যাতে সরকারের কাছে বিকল্প থাকে সেটারই বন্দোবস্ত করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে আগে কম দামে রেশনে কেরোসিন তেল পাওয়া গেলেও এখন তা ধীরে ধীরে দাম বাড়িয়ে বাজার মুল্যএর সমান করে দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন সাধারন নাগরিকেরা। এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরনের আরও আপডেট এর জন্য।

Leave a Comment