প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা কি? PM Kisan কৃষকদের জন্য একটি খুব উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। দেশের একটি বৃহৎ পরিসর জুড়ে রয়েছে কৃষক। এই কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে দেশের মানুষদের জন্য ফসল ফলান কিন্ত সেভাবে তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ততটা উন্নত হয়নি। তাই মোদি সরকার এই কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্পের সূচনা করেন।
PM Kisan Nidhi Yojana 17th Installment Date
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় কত টাকা পাওয়া যাবে? এই প্রকল্পে আবেদন করলে একজন কৃষক প্রতি বছর 6000 টাকা করে পাবেন। তবে এই টাকা একবারে দেওয়া হবেনা। তিনটি পর্যায়ে দেওয়া হবে। প্রতি 4 মাস অন্তর 2000 টাকা করে মোট বছরে 6000 টাকা দেওয়া হবে। এরফলে কৃষকদের অনেকটাই আর্থিক সহায়তা হবে।
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার উদ্দেশ্য
দেশের কৃষক সমাজকে অর্থনৈতিক দিকটি উন্নত করার জন্যই এই প্রকল্পের সূচনা। যেহেতু ভারত কৃষি নির্ভর দেশ। আর ভারতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই কৃষিকাজ ও কৃষক তাই তাদের আর্থিক সমস্যার সমাধান করা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য। তাই এই সম্প্রদায়গুলিকে সাহায্য করার জন্য 2018 সালে ভারত সরকার PM Kisan সম্মান নিধি যোজনা চালু করেছিল।
পিএম কিষান সম্মান নিধি যোজনার 17 তম কিস্তির টাকা এবার চাষিদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার, 18 জুন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী থেকে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিএম কিষানের পাশাপাশি ‘কৃষি সখী’ হিসেবে কাজ করা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর 30 হাজারের বেশি মহিলাকে শংসাপত্র দিয়েছেন তিনি।
আবাস যোজনার মাধ্যমে ৩ কোটি দেশবাসী ১.৩ লাখ করে টাকা পাবেন। এইভাবে আবেদন করুন
কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পিএম কিষান যোজনায় এখনও পর্যন্ত 11 কোটি চাষিকে 3.04 লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে 17 তম কিস্তিতে 20 হাজার কোটি টাকা খরচ করছে সরকার। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কিনা তা এই প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকরা অনলাইনে দেখে নিতে পারবেন। কিন্ত আপনি টাকা পাবেন না যতক্ষণ না E KYC আপডেট করবেন।
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার মানদণ্ডতা
১) ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী-কিষাণ যোজনার জন্য যোগ্য।
২)একজন কৃষকের 2 হেক্টর পর্যন্ত চাষযোগ্য জমির মালিক কৃষক পরিবারগুলি এই যোজনার সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারে৷
৩) কৃষককে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
৪) প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় গ্রামীণ এবং শহর উভয় এলাকার কৃষকরা নিজেদের নিবন্ধন করতে পারেন। তবে নির্দেশাবলী কিছু শ্রেণীর কৃষক পরিবারকে সুবিধা থেকে বাদ দেয়।
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা স্ট্যাটাস চেক
১) প্রথমে এই কৃষাণ যোজনার অফিসিয়াল পোর্টাল ওপেন করতে হবে।
২) তারপর Beneficiary Status অপশনে ক্লিক করুন।
৩) আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং ক্যাপচা কোড দিন।
৪) তারপরে আপনাকে গেট স্ট্যাটাস বোতামে ক্লিক করতে হবে।
E- KYC আপডেট করার পদ্ধতি
প্রথমে আপনাকে পি এম কিষান এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে, এরপর E-KYC অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আধার কার্ড নাম্বার বসিয়ে দিয়ে সার্চে ক্লিক করুন। পরবর্তী স্টেপে মোবাইল নাম্বার বসিয়ে দিয়ে Send OTP তে ক্লিক করতেই মোবাইলে OTP আসবে, তা উল্লেখ করে সাবমিট করতেই E-KYC Update হয়ে যাবে।
আবেদন পদ্ধতি
১) কৃষকদের নিকটস্থ কমন সার্ভিস সেন্টার বা অফিসিয়াল PM Kisan ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে হবে।
২) প্রয়োজনীয় নথিগুলির মধ্যে রয়েছে জমির মালিকানার কাগজপত্র, আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ।
৩) অনলাইন ফর্মটি সঠিক কৃষকের বিবরণ দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
৪) প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনায় আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথী আধার কার্ড, আবাসিক শংসাপত্র, জমির মালিকানা ঘোষণাকারী দলিল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবর।
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার সুবিধা কি কি
আর্থিক সহায়তা :
বার্ষিক 6,000 টাকা দেওয়া হয় এই টাকায় কৃষকদের বীজ, সার এবং সরঞ্জাম কেনা সহ চাষের প্রাথমিক খরচ পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
আধুনিক কৃষিকে উৎসাহিত করা :
আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কৌশলগুলিতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করা হয়, যা কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে।
ঋণ হ্রাস :
আর্থিক সাহায্য অসংগঠিত খাত থেকে ঋণের বোঝা কমাতে সাহায্য করে, প্রায়ই উচ্চ সুদের হারে।
তাই পি এম কিষান সম্মান নিধি যোজনা কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য একটি খুবই উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। আপনিও যদি এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান তাহলে উক্ত পদ্ধতিতে আবেদন পদ্ধতি সম্পন্ন করুন।
আর যদি আপনি আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 17 তম কিস্তির টাকা ঢুকেছে কিনা সেটাও উপরিউক্ত পদ্ধতিতে দেখে নিন।
Written by Shampa debnath.