কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য Dearness Allowance পরিমাণ কিছুদিন আগেই বাড়িয়েছেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে থাকেন। তবে শুধু ডিএ নয়, অন্যান্য অনেক ভাতা বৃদ্ধি করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কোভিড এর সময়ের ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব ছিলেন বিভিন্ন স্টাফ ইউনিয়ন এবং অ্যাসোসিয়েশন।
Pay Commission DA Update on Dearness Allowance Arrear
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরেই আবার সেই বকেয়া Dearness Allowance মেটানো নিয়ে প্রস্তাব জমা পড়ল সরকারের কাছে। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রস্তাব পাঠান ন্যাশনাল কাউন্সিল জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির সচিব গোপাল মিশ্র। শুধু তাই নয়, এই বিষয়টি নিয়ে যাতে আলোচনা করা হয় সেই জন্য দাবি জানানো হয় অর্থ মন্ত্রককে।
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার দাবি জানানো হয়েছে এ বকেয়া Dearness Allowance মেটানোর জন্য। তবে প্রত্যেকবারই মোদি সরকারের কাছ থেকে একই বার্তা পাওয়া গেছে যে এই ডিএ আর মেটানো হবেনা। সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ১৮ মাসের ডিএ ও ডি আর ভাতা বন্ধ ছিল।
যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে টাকা বাঁচানোর জন্যই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার তবে পরিস্থিতি সচল হওয়ার পরেও Dearness Allowance বৃদ্ধি করা হলেও সেই ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ ও ডি আর মেটানো হয় না কেন্দ্রের তরফে। আর এই নিয়েই সরকারি কর্মচারীরা বারংবার দাবি জানাচ্ছে সরকারের কাছে। লোকসভা নির্বাচন ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরেও আরেকবার দাবি জানানো হয়।
যদিও লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্র সরকার কর্মচারীদের ৪ শতাংশ করে Dearness Allowance বাড়ায় যার ফলে ৫০% করে ডিএ পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা এবং সেটি কার্যকর করা হয়েছিল মার্চ মাস থেকেই। মার্চ মাসের বেতনের সঙ্গে সেই বর্ধিত হারে ডিএ পেতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। সঙ্গে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারির বকেয়া ডিএ পেয়েছেন সরকারি কর্মীরা।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্বশিক্ষক, অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও আশাকর্মীদের 5 লাখ টাকার সুবিধা ঘোষণা।
শুধু তাই নয়, এরই সঙ্গে মূল বেতনের ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে রিটায়ারমেন্ট গ্র্যাচুইটি। এবং ডেথ গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতদিন গ্র্যাজুইটির সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২০ লাখ টাকা। এবার থেকে সেটা পাঁচ লাখ টাকা বাড়ানো হল। অর্থাৎ এবার থেকে গ্র্যাজুইটির সর্বোচ্চ সীমা বেড়ে ২৫ লাখ টাকা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের কথা অনুযায়ী যেহেতু সেই করোনাকালীন সময়ের থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে সারা দেশ।
তাই সেই ১৮ মাসের বকেয়া টাকা আটকে রাখার কোনো মানে হয়না। তবে কি সেই ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ ও ডিয়ারনেস রিলিফের টাকা হাতে পেতে চলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা? মনে করা হচ্ছে, সেই ১৮ মাসের বকেয়া টাকা পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সবুজ সংকেত দিলেই কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা। একটা প্রত্যাশা সংকেত অনুভব করছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা।
Written by Shampa Debnath.