Digha – দীঘা পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি প্রশাসনের, জেনে নিন অবিলম্বে,
পর্যটকদের জন্য দীঘা (Digha) বরাবরই জনপ্রিয় একটি নাম। সারাবছর ধরে বিভিন্ন সময়ে নানান জায়গা থেকে পর্যটক এসে ভিড় করেন এই দীঘায়। পর্যটকদের একাংশ পশ্চিবঙ্গের অধিবাসী হলেও, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা দেখা যায় এই সমুদ্রতীরে। ছুটি পেলেই বিশেষ করে বাঙালিদের আনাগোনা বেড়ে যায় সপ্তাহান্তে দীঘায়। তবে এবার থেকে পর্যটকদের দীঘায় ভ্রমণের সময় প্রশাসনের দ্বারা নির্দেশিত কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। অমান্য করলেই অথবা নিয়মাবলী সম্পর্কে না জানা থাকলে সমস্যায় পড়তে হবে পর্যটকদের।
দীঘা শংকরপুর (Digha) উন্নয়নের তদারকিতে নতুন এই নিয়ম চালু হয়েছে পর্যটকদের জন্য। এই নিয়মের আওতায় স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং হকাররাও থাকবেন পর্যটকদের পাশাপাশি। পুরোনো এবং নতুন দীঘা দুই সমুদ্রতটের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে এই নিয়মগুলি। নির্দেশিত এই নিয়মগুলি অমান্য করলে, উদ্যোগকর্তাদের দিকে থেকে উপযুক্ত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে 22 আগস্ট থেকে। নতুন এবং পুরাতন দীঘায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকরা পার্সোনাল গাড়ি, মোটরবাইক বা অন্যান্য যানবাহন পার্কিং করা যাবে না যত্রতত্র। স্থানীয় সকল অটো এবং Toto চালকদের উদ্দেশ্যে একই নিয়ম জারি হবে বলে নির্দেশিত হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষকের B.ed সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
নতুন ও পুরনো দীঘার (Digha) সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় ব্যবসার পসরা সাজিয়ে দোকান দিতে পারবে না স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং হকার কর্মীরা। পর্যটকদের চলাচলে বড়ই অসুবিধার সৃষ্টি করে তাদের এই দোকানের পসরাগুলি। এছাড়াও সমুদ্রতটের নিকটবর্তী কংক্রিট গার্ডোয়াল এবং বোল্ডারগুলির ওপর কোনো ব্যবসায়িক পসরা সাজিয়ে বসা যাবেনা। এখনও যেসব ব্যবসায়ীরা সরকারি জায়গায় পসরা নিয়ে বসছেন, তাদেরও অবিলম্বে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
স্থানীয় অধিবাসীদের গরু নিয়েও বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন সংস্থা। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাজার এবং অন্যান্য জনবহুল এলাকায় যেখানে পর্যটকের ভিড় জমে, সেই এলাকায় গরু বেড়ানো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেই জন্য গরুর মালিকদের বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এই নিয়ম না মানলে গরুদের আটক করবে উন্নয়ন সংস্থা এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা নেওয়া হবে।
দীঘার জনবহুল রাস্তায় যেখানে যানচলাচল বেশি, সেই রাস্তায় কোনো প্রকার ইমারত সামগ্রী রাখা যাবে না। অবিলম্বে, সেই ইমারত সামগ্রী সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা। নতুবা কোনো নির্দেশ ছাড়াই উন্নয়ন সংস্থা বাজেয়াপ্ত করবে সেই সকল ইমারত সামগ্রী।