নতুন বছরে কন্যাশ্রী প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হলে মানতে হবে এই নিয়ম।

২০২৩ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হলে মানতে হবে এই নিয়ম।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে রাজ্যের সকল মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মেয়েদের পড়াশুনার অগ্রগতির জন্য ৮ ই মার্চ ২০১৩ সালে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের সকল মেয়েদের শিক্ষার মূল ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কথা অনুসারে এখনও পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি মেয়েরা কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে মূল ধারায় ফিরে এসেছে।

কন্যাশ্রী প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করবেন দেখুন।

রাজ্যের যে কোন সরকারী স্কুলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত ১৩ – ১৮ বছর বয়সী সকল মেয়েরা এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকে। এই প্রকল্পকে মুলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।কন্যাশ্রী K – 1 ও কন্যাশ্রী K – 2. এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করার নিয়ম, কত টাকা বৃত্তি পাওয়া যাবে, কীভাবে আবেদন করবেন এই নিয়ে আলোচনা করা হবে।

কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদনের যোগ্যতা কি লাগবেঃ-
১. কন্যাশ্রী K – 1 ও কন্যাশ্রী K – 2 এই দুই প্রকল্পের জন্য আবেদনের নিয়ম এক হতে চলেছে।
২. মেয়েটিকে মূল রূপে রাজ্যের নাগরিক হতে হবে।
৩. শুধুমাত্র অবিবাহিত মেয়েরা এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে পারবে।
৪. রাজ্য সরকারী যে কোন প্রতিষ্ঠানে মেয়েটিকে পড়াশুনা করতে হবে।
৫. ১৩ – ১৯ বছর বয়সের মধ্যে আবেদন করা যাবে।
৬. এই টাকা সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউণ্টে পাঠানো হবে। সুতরাং নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউণ্ট থাকা বাধ্যতামূলক।

Reliance Foundation Scholarship দেশের সকল পড়ুয়াদের দিচ্ছে লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ।

কন্যাশ্রী প্রকল্পে কত টাকা বৃত্তি পাবেঃ-
১. ১৩ – ১৮ বছর বয়সী মেয়েরা K -1 এর অন্তর্ভুক্ত। এরা প্রতিবছরে ১০০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে।
২. ১৮ বছরের বেশি বয়সের মেয়েরা K – 2 এর অন্তর্ভুক্ত এই মেয়েরা এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদান পাবে।

কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদনে জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-
১. জন্মের প্রমানপত্র।
২. অভিভাবক এর আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড।
৩. ব্যাংক এর পাসবই এর প্রথম পাতার জেরক্স।
৪. পরিবারের ইনকাম এর প্রমানপত্র। কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সেটাকেই মান্যতা দেওয়া হবে।
৫. রঙিন পাসপোর্ট সাইজ এর ফটো।

কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১. এই প্রকল্পে আবেদন সম্পূর্ণ ভাবে অফলাইন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
২. ছাত্রীরা যে বিদ্যালয়ে পাঠরত সেখানকার প্রধানের থেকে অফলাইন ফর্ম নিতে হবে।
৩. নির্ভুলভাবে পুরো ফর্মটি ফিল আপ করে জমা দিতে হবে নিজের বিদ্যালয়ে।
৪. মনে রাখতে হবে কোন ধরণের ভুল হলে আপনার আবেদন বাতিল করাও হতে পারে। তাই ফর্ম ফিল আপ এর সময়ে সতর্ক থাকবেন।

স্কুলে ফাঁকিবাজি রুখতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য কড়া নির্দেশিকা, সপ্তাহে একবার করে স্কুল ভিজিট।

এই সহজ কিছু নিয়ম মেনে নতুন বছরে কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদন করলে আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।
এই বিষয় নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।

Leave a Comment