রাজ্য সরকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো Lakshmir Bhandar প্রকল্প। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাংলার মানুষের জন্য অনেক রকম প্রকল্প ব্যাবস্থা করেছেন। তারমধ্যে যেটা সবথেকে বেশি সাড়া ফেলেছে সেটার নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার। কারণ এই Lakshmir Bhandar প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মহিলাগণ তাদের আর্থিক নিরাপত্তা পাচ্ছেন। এছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের যে টাকা প্রতিমাসে দেওয়া হয় তাতে তাদের সেই টাকা জমিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ হচ্ছে কোনো ছোট ব্যাবসার মধ্য দিয়ে।
Lakshmir Bhandar Scheme Latest Update.
তাই বর্তমানে রাজ্য সরকার কর্তৃক অন্যান্য প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বার্ধক্য ভাতা বা বিধবা ভাতার চেয়ে Lakshmir Bhandar প্রকল্প জনগণের কাছে অনেকটাই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে নাম করেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) উদ্যোগে শুরু হওয়া এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প সারা ফেলেছে সব মহলে। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সের মহিলা।
এই Lakshmir Bhandar প্রকল্পের মাধ্যমে সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা ১০০০ টাকা এবং জেনারেল কাস্টের মহিলারা ৫০০ টাকা করে প্রতি মাসে পেয়ে থাকেন অর্থাৎ বছরে ৬০০০ থেকে ১২০০০ টাকা করে তাদের ব্যাংকে জমা পড়ে। আর এই টাকা পাওয়ার ফলে অনেক দরিদ্র শ্রেণীর মহিলাদের নূন্যতম হাত খরচ তারা নিজেরাই করতে পারেন। অনেকে প্রতি মাসের টাকা জমিয়ে ছোটোখাটো ব্যাবসা করছেন।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের (Duare Sarkar Camp) মাধ্যমে সেপ্টেম্বরেও অনেকেই এই Lakshmir Bhandar প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করেছেন। আবারও আসতে চলেছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। যারা এখনো নাম নথিভূক্ত করেননি করে নিন। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা আরেকটি প্রকল্প বিধবা ভাতার মাধ্যমে সকল বয়স্ক মহিলারাও টাকা পেয়ে থাকেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বিধবা ভাতার পেনশন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
জেনে নেওয়া যাক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ২০২১ থেকে এখনো অবধি Lakshmir Bhandar থেকে ১ কোটিরও বেশি টাকা পাচ্ছেন। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরে নতুন করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে 9,15,268 জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নতুন মহিলাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পাওয়া মহিলাদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 1,98,37,033।
এই নতুন করে দুয়ারে সরকারে (Duare Sarkar) আবেদন জমা নেওয়ার আগেও মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং বিধবা ভাতা দুটির জন্য আলাদা করে ফ্রম ফিলাপ করতে হবে। তাই সেই অনুযায়ী যারা Lakshmir Bhandar পেতেন কিন্তু বিধবা ভাতায় আবেদন করেননি তারা এই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে বিধবা ভাতার জন্য আবেদন ফ্রম জমা দিয়েছেন।
তবে এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরে একটি সভাতে বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলেন ‘বাংলায় বাড়িও হবে’। একটু টাকা হলেই সেই প্রকল্পে হাত দেওয়া হবে। সরাসরি যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ লক্ষ জনকে Lakshmir Bhandar ও বিধবা ভাতার পেনশন দেওয়া হবে, সব আমি রেডি করে রেখেছি। উৎসব গুলো মিটে গেলে সব ঠিক সময় মতো দেওয়া হবে। আমি গিয়ে সে গুলো দিয়ে আসব।’
এছাড়াও এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে নিয়ম ছিল যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন তারা বিধবা ভাতা পাবেন না বা যারা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন তারা Lakshmir Bhandar পাবেন না। কিন্তু এখন থেকে নতুন নিয়ম চালু করলেন। এখন থেকে একজন মহিলা দুটো প্রকল্পের জন্য এক সঙ্গেই আবেদন করতে পারবেন অর্থাৎ যিনি লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতা পান তিনি বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
Lakshmir Bhandar প্রকল্পে যারা এখনো আবেদন করেননি তারা আগামী দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এরপর সেখান থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করে,তা ফিলাপ করে ডকুমেন্টস সহকারে জমা করতে হবে। এরপর Lakshmi Bhandar Prakalpa এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেে এসে আবেদন এর স্থিতি যাচাই করে দেখে নিন, আবেদন এপ্রুভ হয়েছে কিনা।
মেয়েদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে নতুন প্রকল্প আনল সরকার। কীভাবে আবেদন করবেন?
মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন বাংলার মহিলাদের জন্য এই দুটো প্রকল্প খুবই গুরুত্তপূর্ণ। তাদের অর্থনৈতিক দিকটাকে শক্ত করার জন্য ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এই প্রকল্প অনেকটাই ভূমিকা পালন করে। আর আগামীদিনে এই প্রকল্পে আরও অনেক মহিলারা যোগদান করতে পারবে বলেও মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২ কোটি মানুষ এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করিয়েছে।
Written by Shampa Debnath.