Labour card থাকলেই পুজোর আগে পেয়ে যাবেন বিশেষ কিছু সুবিধা, জেনে নিন বিস্তারিত।

Labour card – নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকার নিয়ে এলো এক প্রকল্প, আপনি নাম নথিভূক্ত করিয়েছেন তো?

রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন রকম প্রকল্প (Labour card) ব্যাবস্থার সূচনা করেন। আর একটাই কারণ আমজনতার সুবিধা করে দেওয়া। তাদের আর্থিক সংস্থান যাতে একটু হলেও সচল থাকে তার জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক অনুমোদন দিয়ে থাকেন। তেমনি এক প্রকল্প হলো লেবার প্রকল্প। যদিও সাধারণ মানুষের কাছে এটি শ্রমিক নির্মাণ প্রকল্প নামে পরিচিত।

এই প্রকল্পের কারণঃ
রাজ্য সরকার থেকে এই প্রকল্প করার উদ্দেশ্য শুধুই শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের জন্য। অন্য কোনো কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। তবে এখনো সমস্ত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের কাছে এই প্রকল্পে কিভাবে নাম অন্তভূক্ত করতে হবে সে সম্পর্কে অবগত নয়। তাই অনেক শ্রমিকরা (Labour card) এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। বর্তমানে আবারও তাই রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের সুবিধা, কিভাবে আবেদন করতে হবে সেই ব্যাপারে জানিয়েছেন।

গরমে অতিরিক্ত ছুটি থাকায় দুর্গা পূজার ছুটি বাতিল করে স্কুল খোলা রাখতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই নির্মাণ মূলক কাজ গুলো করেন। তাদের পরিবারকে একা ছেড়ে অনেক সময় মাসের পর মাস কাজের জায়গায় থাকেন। সেই কাজ থেকে পাওয়া টাকা বাড়িতে পাঠান। তাতেই তাদের সংসার চলে। কোনো কারণে আকস্মিভাবেই দূর্ঘটনা ঘটে যায়। ফলে অনেক শ্রমিক আহত হয় কেউবা নিহত। এমন কিছুদিন আগেও একজায়গায় ব্রিজ বানাতে গিয়ে অনেক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তাই তাদের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ও আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য রাজ্য সরকার এই প্রকল্প (Labour card) ব্যাবস্থার মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ভাবনা ভেবেছেন।

লেবার কার্ডে (Labour card) নাম নথিভূক্ত করতে পারবেন কারাঃ
১) নির্মাণ কর্মীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২)বয়স হতে হবে ১৮-৬০ বছরের মধ্যে।
৩) সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কর্মীকে অন্তত ৯০ দিন কাজ করে থাকতে হবে।

লেবার কার্ডে (Labour card) কি কি সুবিধা পাওয়া যাবেঃ
১) রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ শ্রমিক প্রকল্পে নাম অন্তুভুক্তদের ছেলে মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব নেবেন। ছেলে মেয়ের পড়াশুনার জন্য সরকার ২০০০ – ১৫০০০ টাকা দেবেন।
২) কোনো নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হলে সেই পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেবেন। আর যদি নির্মাণ কাজ চলাকালীন দূর্ঘটনার জন্য মারা যান তাহলে সেই পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেবেন।

৩) অনেক নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে দূর্ঘটনার জন্য শ্রমিকদের আঘাত লাগে। সেই সমস্ত অল্প আহত শ্রমিকদের জন্য ১০০০ – ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে।
আর কোনো শ্রমিক (Labour card) এমন ভাবেই আহত হন যে ভবিষ্যতে তিনি আর কাজ করতে সক্ষম হবেন না। এমন অনেক পরিবার আছে যাদের বাড়ির আর্নিং মেম্বার একজনই। তাই তিনি যদি অক্ষম হয়ে পড়েন সেই পরিবারের জন্য কালো ছায়া নেমে আসে সংসারে। সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই কোনো নির্মাণ শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হলে সেই সেই শ্রমিককে ২৫০০০ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।

৪) নির্মাণ কর্মীদের আহত হবার পরে যদি অস্ত্রপ্রচারের দরকার পড়ে তাহলে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সাহায্য করবে সরকার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্মাণ কর্মীদের যক্ষায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হবে।
৫) নির্মাণ কর্মীরা নিজের পাকা বাড়ি যদি বানাতে চায় তারা এত টাকা একসাথে পায়না। কিংবা ব্যাংক থেকেও সুদ সহজে পেতে পারেনা। সেক্ষেত্রে সরকার ৫ শতাংশ সুদে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা করা হবে।

৬) এই প্রকল্পের অন্যতম বড় সুবিধা হল ৬০ বছর বয়সের পর সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কর্মী প্রতিমাসে সরকারের থেকে ৫০০-৮৭০ টাকা পর্যন্ত ভাতা পাবেন। ওই নির্মাণ কর্মী প্রয়াত হলে তাঁর স্ত্রী বা স্বামী এর অর্ধেক ভাতা পাবেন। কিছুটা পেনশনের মতন। তাই পরিবারের আর্থিক অসুবিধা না হওয়ার জন্য এই ব্যাবস্থা।
৭) অনেক পরিবারে মহিলারাও নির্মাণ কর্মীর কাজ করে। যেমন ইট টানা, সিমেন্ট বালি মাখানো। সেই মহিলা নির্মাণ কর্মীরা গর্ভবতী হলে ৩০০০ টাকা করে দু’বার আর্থিক অনুদান পাবেন সরকার থেকে।

৮) কোনও নির্মাণ কর্মী প্রয়াত হলে তাঁর অন্তোষ্টিক্রিয়ার জন্য ৩০০০ টাকা অনুদান দেবে সরকার। কোনও ছোটখাটো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার দরকার হলে নির্মাণ কর্মীকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
৯) নির্মাণ কর্মী বিবাহ করলেও সরকার থেকে আর্থিক সাহায্য পাবে। এই সাহায্য দুই ধাপে ৫০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।

রাজ্য সরকার থেকে শ্রমিক (Labour card) নির্মাণ প্রকল্পে এতটা আর্থিক অনুদান দিয়ে সেই পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই আপনারা যারা এখনো এই প্রকল্পের আওতায় আসেননি। দ্রুত প্রকল্পে অন্তভূক্ত হয়ে এই সাহায্য গুলো নিন। আপনার পরিবারের আর্থিক অনটন অনেকটাই লাঘব হবে আশা করি।
Written by Shampa Debnath

দূর্গা পূজার ছুটি কমিয়ে স্কুল খোলা রাখতে হবে। বাড়তি গরমের ছুটির কারনে সিলেবাস অসম্পূর্ণ।

Leave a Comment