পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য চলতি বছরে দারুন সুখবর। কৃষক বন্ধুর প্রকল্পের বা Krishak Bandhu টাকা দেওয়া শুরু হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের মতো এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক বন্ধুদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয়। দূর্গাপুজোর পরে, রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তর থেকে রবি মরশুমের কৃষকবন্ধুর প্রকল্পের কিস্তির টাকা অতি শীঘ্রই কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে জমা হতে চলেছে।
Krishak Bandhu Payment Status Check
পশ্চিমবঙ্গের সরকার কৃষকদের সাহায্য করে এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রত্যেক বছর কৃষিকদের ব্যাংক একাউন্টে কিস্তির টাকা পেঠিয়ে দেয় সরকার। বাংলার কৃষিকদের সারা বছর ধরে নানান প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এই কথা মাথায় রেখে সরকার কৃষকদের দিকে সাহায্যের হাত বেড়িয়ে দেয়। তাই এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষকে একটি নিদিষ্ট পরিমান টাকা দেওয়া হয় রাজ্য সরকার তরফ থেকে।
ইতিমধ্যেই চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের খরিফ মরশুমের টাকা পেয়ে গেছেন লক্ষাধিক কৃষক। আর এখন কৃষকরা অপেক্ষা করছে রবি মশুমের কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য। সবার মনে একটাই প্রশ্ন কবে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে। আজ থেকে কিছু বছর আগে ২০১৯ সাল নাগাদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের কৃষকদের জন্য চালু করেন কৃষকবন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা সাধারণত বছরে দুই বার করে অর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন সরকারের কাছে থেকে।
যার মধ্যে একটি খরিফ ও একটি রবি মশুমের টাকা পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা সর্বাধিক ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। প্রতিবছর কৃষকরা খরিফ মশুমের টাকা এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পেয়ে থাকেন, রবি মশুমের টাকা দেওয়া হয় অক্টোবর থাকে মার্চ মাসের মধ্যে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সকলে টাকা পেয়ে যান।
Krishak Bandhu Prakalpa Apply
আপনিও যদি এই প্রকল্পে আবেদন করতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আপনাকে কি করতে হবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক এই স্কিমের আবেদন পদ্ধতি। এই স্কিমে আবেদন করতে হবে আপনাকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ফ্রম পূরণ করতে হবে। ওই আবেদনপত্রে যে তথ্য চেয়েছে সে তথ্য সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে। তারপর সেই ফ্রম স্থানীয় কৃষি অফিস বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে জন্য দিয়ে আসতে হবে।
আবেদন জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
যেকোনো প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে নিদিষ্ট কিছু নথি জন্য দিতে হয় কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ক্ষেত্রে কি কি নথি জমা করতে হবে সেটি বিস্তারিত ভাবে দেখে নিন। জমা করতে হবে –
- ভোটার কার্ড
- আপনার আধার কার্ড
- চালু থাকা মোবাইল নম্বর
- ব্যাংকের পাস বই
- আপনার পাসপোর্ট মাপের রঙিন ছবি
এর পাশাপাশি জমা করতে হবে জমির খতিয়ান/ দলিল/ পর্চা বা জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র। তারপর আপনার আবেদন বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন, দেশের জনপ্রিয় সরকারি ব্যাংক গুলো কে বেসরকারি করার প্রক্রিয়া। তালিকায় আছে কোন কোন ব্যাংক?
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে দেওয়া হবে?
সাধারণত কৃষক বন্ধু টাকা বছরে দুই বার দেওয়া হয়ে থাকে। ১) খরিফ মশুমের টাকা কৃষকরা এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পেয়ে থাকেন। ২) রবি মশুমের টাকা দেওয়া হয় অক্টোবর থাকে মার্চ মাসের মধ্যে। ২০২৪ সালে আগের কিস্তির টাকা পেয়ে গেছেন। আর আবার রবি মশুমের কিস্তির টাকা পাওয়ার অপেক্ষায়। এখন আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো ২০২২ ও ২০২৩ সালে রবি সিজনের টাকা ডিসেম্বর মাসে দেওয়া হয়েছিল। তাই মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরেও রবি সিজনের টাকা ডিসেম্বর মাসে দেওয়া হয়ে থাকবে।