ভোটার কার্ড আমাদের দেশে প্রথমবারের জন্য ১৯৯৩ সালে ECI – Election Commission Of India তরফে জারি করা হয়েছিল। ১৮ বছরের ওপরে দেশের সকল নাগরিকদের এই EPIC – Electronic Photo Identity Card অর্থাৎ ভোটার কার্ড তৈরি করতে হবে। এই কার্ড গণতন্ত্রের মূল উৎসব ভোট গ্রহণে যোগদানের জন্য প্রয়োজন পরে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট আয়োজন হতে চলেছে এর আগে ভোটার কার্ডে আবেদনে পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন।
ভোটার কার্ড আবেদন পদ্ধতি দেখে নিন।
ভোটার কার্ড শুধুমাত্র ভোট দানের পরিচয়পত্র নয়। এটা আমাদের দেশে আধার কার্ড, প্যান কার্ড এর পরে তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় পত্র। সেই জন্য আমাদের সকলের উচিত ১৮ বছর বয়স হলে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করা। আগেকার দিনের মতো এখন ভোটার কার্ডের আবেদনের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়না। Election Commission Of India র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। ভোটার কার্ডে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইট ও অ্যাপ এই দুই ধরণের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব।
ভোটার কার্ড এর জন্য ওয়েবসাইটে আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১. www.nvsp.in এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এর পরে আপনাকে রেজিস্টার করে নিতে হবে।
২. নতুন আবেদন করার জন্য ৬ নম্বর ফর্ম খুলতে হবে।
৩. এর পরে নিজের আধার কার্ড নাম্বার দিতে হবে। আধার কার্ড ছাড়া আবেদন করা যাবে না।
৪. নিজের নাম, অভিভাবকের নাম, মোবাইল নম্বর, ই মেল, ঠিকানা লিখে দিতে হবে।
৫. নির্ভুলভাবে সকল তথ্য দিয়ে দিতে হবে। কোন ভুল থাকলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
৬. এর পরে আপনাকে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।
৭. আপনার সকল তথ্য যাচাই করার পরে কিছুদিনের মধ্যে আপনার বাড়িতে কার্ড চলে আসবে।
ভোটার কার্ড এর জন্য অ্যাপের মাধ্যমে আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১. Google Play Store অ্যাপ খুলে নিতে হবে।
২. এর পরে সার্চ বারে গিয়ে Voter Helpline App লিখতে হবে।
৩. Voter Helpline App এর মধ্যে নিজের ই – মেল আই ডি দিয়ে রেজিস্টার করে নিতে হবে।
৪. New Apply অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৫. ফর্ম ৬ সিলেক্ট করে নিতে হবে।
৬. নিজের পরিচয়ের প্রমানপত্র হিসাবে আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের সফট কপি আপলোড করতে হবে।
৭. এই কার্ডে নিজের ফটো দেওয়ার জন্য ফটো তুলে জমা করতে হবে।
৮. এই সকল তথ্য সাবমিট করলে রেফারেন্স নম্বর পাবেন।
বছরের শুরুতে দাম বাড়লো LPG গ্যাসের, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
৯. এই রেফারেন্স নম্বর নিজের কাছে রেখে দিতে হবে। এই নম্বরের মাধ্যমে আপনি নিজের কার্ডের কপির স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।