Reduce Electric Bill: বর্তমানে যে হারে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি সাথে সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে ফোন রিচার্জ, ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের খরচ এছাড়া আরো অন্যান্য দিকে প্রত্যেকটা জিনিসের আগুন ছোঁয়া দাম কিন্তু সেই হারে কোন ব্যক্তিরই মাসিক ইনকাম কিন্তু সেই ভাবে বাড়েনি। বিশেষকরে মধ্যবিত্ত সংসারে মাসের শেষের দিনগুলোতে সংসার চালানো খুবই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
Reduce Electric Bill – বিদ্যুৎ বিল কমান
এর মধ্যেই গত কয়েক বছর ধরে যে হারে গরম পড়ছে তাতে এক সেকেন্ডও ফ্যান বা এসি ছাড়া থাকা সম্ভবপর নয়। দিনের মধ্যে প্রায় ১৮-২০ ঘন্টা ফ্যান বা একটি চালিয়ে থাকতেই হচ্ছে। সম্প্রতি যে হারে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেকটাই ব্যয় সাপেক্ষ হয়ে পড়ছে। প্রতিটি সাধারণ সংসারে মাসিক খরচ ব্যয় করার একটা বাজেট থাকে। সেই বাজেটের উর্ধ্বে যদি হয়ে যায় তাহলে সাধারণ পরিবারে সেটা মেকাপ করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যায়।
যেহেতু গরমে কষ্ট করা সম্ভবপর নয়, যেটুকু বিদ্যুৎ খরচ করার সেটা করতেই হবে অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংস্থাও ইউনিট প্রতি চার্জ যেটা নির্ধারণ করে থাকে সেটা থাকবেই তাই এই পর্যায়ে আপনি যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কিছু উপায় বার করতে পারেন তাহলে আপনি একমাত্র কিছুটা লাভ করতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদনে কিভাবে আপনি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন সেটা জানানো হবে। আপনিও যদি এই ট্রিকস ফলো করতে চান তাহলে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন(Reduce Electric Bill).
১) পুরনো আমলের যে পাখাগুলো রয়েছে সে পাখাগুলোতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় তাই আপনি যদি প্রত্যেকটি ঘরে নতুন পাখা লাগাতে পারেন তাহলে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কম হবে। তার কারণ হলো পুরনো পাখা সাধারণত ৭০ থেকে ১২০ ওয়াটের হত সেখানে বেশ কিছু আধুনিক পাখার মডেলে ৩২ ওয়াটের হচ্ছে৷ তার ফলে আপনি যদি সারাদিন পাখা চালিয়ে দেখেন তাহলেও খরচ অনেক কম আসবে (Reduce Electric Bill).
২) বর্তমানে প্রত্যেকটি মধ্যবিত্ত বাড়িতেই ফ্রিজ মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করতে দেখা যায়। আপনার ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো যদি ফাইভ স্টার রেটেড গুডস হয় তাহলে বিদ্যুৎ খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যেতে পারে৷ সেই সাথে আরো কিছুর নিয়ম মেনে চলা উচিত অনেকেই আছেন যারা অনেকক্ষণ ধরে জিনিসপত্র নেওয়ার সময় বা রাখার সময় ফ্রিজের দরজা খুলে রাখেন। এতে কারেন্ট বেশি ওঠে (Reduce Electric Bill).
তাই ফ্রিজের দরজা অনেকক্ষণ ধরে খুলে রাখবেন না কিম্বা একবারে বেশিরভাগ জিনিস নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বারবার ফ্রিজের দরজা খুলবেন না। এছাড়া ওয়েদার ফ্রিজের মোড সেই অনুসারে সেট করুন৷ সামার, মনসুন, উইন্টার যে অপশনগুলি ফ্রিজের রেগুলেটরে দেওয়া থাকে সেগুলি আবহাওয়ার পরিস্থিতি অনুসারে বদলে দিন৷ পাশাপাশি ফ্রিজ দেওয়াল থেকে খানিকটা দূরে রাখুন যাতে ফ্রিজের পিছন দিকটা সামাণ্য হলেও খোলামেলা জায়গায় রাখবেন তাতে ফ্রিজের পরিস্থিতি খানিকটা হলেও ভাল থাকবে৷
৩) ফ্যান, মাইক্রোওয়েভ, চিমনি ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহারের পরে পরে সুইচ অফ করে দিন। মেশিন ব্যবহার না হলেও মেন সুইচ জ্বালিয়ে রাখা একেবারেই ভাল অভ্যাস নয়, এতে বিদ্যুতের বিল বাড়তে পারে পাশাপাশি সর্বক্ষণ ওই চ্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ জারি থাকে বলে তা বিভিন্ন বিপদের কারণও হতে পারে।
৪) আলোর ক্ষেত্রে সিএফএল বদলে এলইডি লাগান এতে আলোর জোরও বেশি হবে পাশাপাশি বিদ্যুতের খরচও অনেকাংশে কম করা যাবে (Reduce Electric Bill).
৫)যেহেতু বর্তমানে প্রচন্ড হারে গরম পড়ছে, তাই গরমে অস্বস্তি থেকে রেহাই পেতে এখন প্রতিটি মধ্যবিত্ত ঘরেই এসি রয়েছে। তবে এসি লাগানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ফলো করুন। এসি লাগালে চেষ্টা করুন ইনভার্টার এসি লাগাতে৷ স্টারের ক্ষেত্রেও ফাইভ স্টার এসি হলে ভাল হয়, হয়ত কিনতে দাম প্রাথমিকভাবে বেশি লাগবে কিন্তু পরে সেটা বিদ্যুতের বিল সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে কাজ লাগবে৷ এসি বারবার অন ও অফ করবেন না৷ কারণ এতে খরচ কমার বদলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে। কারণ এসির কম্প্রেসর বারবার অন অফ হয় এটা বেশি ক্ষতিকারক৷
আরও পড়ুন, এবার 500 টাকা দিয়ে পেয়ে যাবেন গ্যাস সিলিন্ডার, সরকারের তরফ থেকে বড় ঘোষণা
৬) তবে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি আপনার ছাদে সৌর প্যানেল বসিয়ে সৌরশক্তিকে কাজে লাগান এবং সেই শক্তির মাধ্যমে বাড়ির ফ্যান লাইট ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক জিনিসগুলোকে চালান তাহলে আপনার বিদ্যুৎ সবচেয়ে বেশি সাশ্রয় হবে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এরকম একটি প্রকল্প সূচনা হয়েছে সেটিও যদি আপনি আপনার ছাদে বসানোর জন্য এ প্রকল্পে আবেদন করেন তাহলেও আপনি অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন। আশা করা যায় এই ট্রিকস গুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে অনেকটাই আর্থিক খরচ বাঁচাতে পারবেন।
Written by Shampa Debnath.