টিকটিকি তাড়ানোর উপায়
আমরা সাধারণত এখন ইনস্টাগ্রাম ইউটিউব দেখে নিজেদের নতুন বাড়ি কিংবা পুরনো বাড়ি নতুনভাবে সাজাতে চেষ্টা করি। শুধু সাজানোই শুধু আমাদের লক্ষ্য নয় বাড়িকে স্বাস্থ্যকর রাখাও আমাদের দায়িত্ব। কারণ বাড়ি আপনি যতই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন অবাঞ্ছিত অতিথি যেমন আরশোলা, টিকটিকি উপস্থিত হয়। আর এই দিক থেকে ছড়ায় বিভিন্ন রকমের রোগ। আর যদি আপনার বাড়িতে বাচ্চা থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে আমাদের আরো বেশি করে সচেতন হতে হয়।
টিকটিকি তাড়ানোর উপায় – জেনেনিন।
তাই বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করেও আপনি বাড়ি থেকে আরশোলা বা টিকটিকি তাড়াতে পারছেন না তবে আমাদের টিকটিকি তাড়ানোর উপায় বা এই পদ্ধতি গুলো একবার প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। কীট গুলি বেশিরভাগ আমাদের রান্নাঘরে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আপনি এক টুকরো রসুন ব্যবহার করে দেখতে পারেন। রান্নাঘরের কোনে অর্থাৎ যেখানে এরা বেশি আসে সেখানে এক টুকরো রসুন রেখে দিতে পারেন রসুনের তীব্র গন্ধ টিকটিকি সহ্য করতে না পেরে মারা যাবে।
কীটনাশক ট্যাবলেট: এই কীটনাশক ট্যাবলেট গুলি আপনি কোন আসবাবপত্র কিম্বা বেসিনের নিচে কিংবা গ্যাসের নিচে যেখানে এদের আনাগোনা বেশি সেখানে রেখে দিতে পারেন তবে অবশ্যই দেখে রাখবেন আপনার বাড়িতে যদি বাচ্চা থেকে থাকে তবে তাদের লাগালে বাইরে রাখবেন।
ফ্লাই পেপার: এই পেপারটিকে আপনি আলোর সামনে রেখে দেবেন কারণ এখানে আলোর কাছে যখন পোকা আসে সেগুলি ধরতে টিকটিকি সেই জায়গাতে যায়। সেই সময় টিকটিকি অনায়াসে এই পেপার এর মধ্যে পড়ে যাবে এবং তারপর সেটিকে ধরে ফেলে দেবেন।
আপনি তামাক এবং কফি দিয়ে একটি বিষাক্ত কীটনাশক বানাতে পারেন। তামাক এবং কফি গুড়ো করে ছোট ছোট বল তৈরি করে কাঠির সাহায্যে আটকে টিকটিকির আসা-যাওয়ার পথে রেখে দিন। এটি কীটনাশকের কাজ করবে।
পেপার স্প্রে: আগে সতর্কীকরণ করা হচ্ছে এইচ প্রে ব্যবহার করবার আগে যিনি স্প্রে করবেন তার নাক চোখ ভালো করে ঢেকে রাখতে হবে। আর এটি একটি খুব ঝাঁঝালো জিনিস। যা এই কীট গুলিকে তাড়াতে সাহায্য করবে। একটি বোতলে সামান্য জল এবং গোলমরিচের গুঁড়ো নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ফ্রিজ, রান্নাঘর, বাথরুম এবং আসবাবের নিচে স্প্রে করতে পারেন। এইচ প্রের ব্যবহার করলে কীটপতঙ্গ বাড়ি ছেড়ে পালাবে।
টিকটিকি তাড়ানোর উপায় গুলো যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে সকলকে শেয়ার করুন।
প্রতিবেদক, ঋদ্ধিমা।