ছাদ বাগানে ড্রাগন ফ্রুট চাষ করে প্রতিমাসে প্রচুর টাকা আয় করুন। ড্রাগন ফল চাষের পদ্ধতি জেনে নিন।

অবসর সময়ে বাড়তি কিছু টাকা রোজগার করতে চাইলে আপনার নিজস্ব ছাদ বাগানে ড্রাগন ফ্রুট চাষ বা ড্রাগন ফল চাষ (Dragon Fruit Farming) করে প্রতিমাসে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একটি সুস্বাদু ফলের চাষ সম্পর্কে জানাবো যেটা আপনি খুব সহজেই আপনার ছাদ বাগানে (Roof Garden) চাষ করতে পারবেন। ড্রাগন ফলের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন গোলাপি কালারের।

Advertisement

How to Earn a Lot by Farming Dragon Fruit

এই সুস্বাদু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটি অনেকেরই চেনা। ফলটি মূলত ভিনদেশী হলেও এই দেশে বেশ ভালই চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এই ড্রাগন ফল বা Dragon Fruit Farming সম্পর্কে একটা আকর্ষণ দেখা যায় তার কারণ ড্রাগন ফল দেখতেও কিন্তু ভীষণ সুন্দর। আপনিও খুব সহজে আপনার বাড়ির ছাদে বা বাড়ির উঠোনে এ ফলটির চাষ করতে পারেন।

Advertisement

ড্রাগন ফলের গাছ কেমন দেখতে হয়

ড্রাগন ফলের গাছটি বা Dragon Fruit Farming হয় লতানো মাংসল এবং খাঁজকাটা। যেমন পুঁই গাছ বা বিভিন্ন শাকসবজি গাছ কোন খুঁটি বেয়ে বেড়ে ওঠে ঠিক তেমনি ও ড্রাগন ফলের গাছ কোন লোহা বা কাঠ বা সিমেন্ট এর খুঁটি দিয়ে বড় হতে পারে। ড্রাগন ফলটি দেখতে গোলাপী বর্ণের হয় এবং ভেতরটি হালকা সাদার মধ্যে কালো ফুট দেওয়া থাকে। দেশে এই ড্রাগন ফলের চাষ করে অনেক যুবক-যুবতীরা স্বনির্ভর হচ্ছে। আপনিও লাভবান হতে চাইলে আপনার বাড়ির ছাদবাগানে বা উঠোনে এই গাছের চাষ করতে পারেন।

চাষের জন্য উপযুক্ত সময় ও মাটি

জানা গেছে ড্রাগন ফলের ফলন বা Dragon Fruit Farming সবচেয়ে ভালো হয় এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে চারা রোপন করতে পারলে। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে জৈবপদার্থ সমৃদ্ধ বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ড্রাগন চাষের জন্য উত্তম বলেই মনে করা হয়। ড্রাগন গাছটি সাধারণত লাগানো হয় কোন ড্রাম বা টবে।

ড্রাগন গাছ কাটিং করাতে হয় তাই সবচেয়ে ভালো হয় ২০ ইঞ্চি ড্রাম বা টবে এই গাছটি লাগানো গেলে তার কারণ এই গাছটা শিকড় যেহেতু অনেকটা পর্যন্ত যায় তাই একটি ড্রামে এই চারা লাগালে শিকড় গুলো ভালো ভাবে ছড়াতে পারবে চারিদিকে আর তাতে ফলনও ভালো হবে। আরেকটির দিক লক্ষ্য রাখতে হবে ড্রামের জল যাতে না জমে ড্রামের তলায় তাহলে কিন্তু গাছের শিকড় পচে গাছ মারা যেতে পার।

ভোটের আগে একাউন্টে টাকা দিচ্ছে সরকার। কীভাবে আবেদন করবেন দেখেনিন?

তাই ড্রামের তলায় চার-পাঁচটি ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে এবং ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে অপ্রয়োজনীয় জল ফুটো দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। যেহেতু ড্রাগন গাছটি লতানো গাছ তাই একটু বড় হলেই নুইয়ে যেতে পারে তার জন্য গাছটি একটু বড় হওয়ার পরেই কোন শক্ত খুটির সাহায্যে এটাকে বেঁধে দিতে হবে যাতে কোনভাবে গাছটি নুইয়ে না পড়ে।

msme loan - (মসমই লোন)

ড্রাগন গাছের চারপাশে কোন আগাছা জন্মগ্রহণ করলে কিংবা ড্রাগন গাছের পাতা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে দিতে হবে। ড্রাগন গাছে জল খুব কম দিতে হবে কারণ এটি একটা ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। এই গাছ বেশি জল সহ্য করতে পারে না তাই গাছের গোড়ায় কখনো যাতে জল না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কাটিং লাগানোর পরে টব বা ড্রামটিকে রোদ্দের মধ্যে রেখে দিতে হবে।

আধার ও ব্যাংক একাউন্ট থাকলেই প্রতিমাসে 3000 টাকা পাবে। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন জানুন

এভাবে যত্ন সহকারে ড্রাগন গাছের পরিচর্যা করলে খুব সহজে খুব তাড়াতাড়ি ভালো ফলন দেবে।
ড্রাগন একবার ফলন দেওয়া শুরু করলে খুব ভালোভাবে ফলন দেয় এবং এই ফল বিক্রি করে বাজারে আপনি অনেকটাই লাভবান হতে পারবেন। কারণ বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা অনেক রয়েছে। আপনার বাড়িতে যদি ছাদ বাগান বা Roof Garden থেকে থাকে তাহলে সেই বাগানে ড্রাগন গাছটি প্রতিস্থাপিত করে দেখতে পারেন। হয়তো এই চাষের মাধ্যমেই আপনি অনেকটাই আর্থিক স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবেন।
Written by Shampa Debnath.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button