Maandhan Yojana: কেন্দ্রীয় সরকার দেশের জনসাধারণের জন্য যে সমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন, সেগুলির মাধ্যমে দেশে জনসাধারণ অনেকটাই আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, রাজ্য সরকারও বিভিন্ন প্রকল্প সূচনা করেছেন যার মাধ্যমে রাজ্যের কন্যা, মহিলা, বৃদ্ধ, যুবক প্রত্যেকের কিছু না কিছু আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন।
Maandhan Yojana – মানধণ যোজনা
আজকে যে প্রকল্পের আলোচনা করব সেটি সূচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের কৃষকদের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা। ফসল উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যার থাকে তারাই হলো কৃষক। তবে এখনো পর্যন্ত কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। তাই তাদের অর্থনৈতিক ভাবে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কিষান মানধণ যোজনা বা PM Kisan Maandhan Yojana প্রকল্পের সূচনা করেন। প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে প্রত্যেক মাসে একজন কৃষককে।
একজন কম বয়সী কৃষক যেভাবে কৃষিকাজ করতে পারেন তার বয়স কালে তিনি সেভাবে কাজ করতে পারেন না। বয়সকালে তার খাওয়া-দাওয়া, শরীর স্বাস্থ্য প্রভৃতির জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হয় সেটা তিনি কোথায় থেকে পাবেন এই চিন্তা থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের পেনশনের কথা চিন্তাভাবনা করেন, আর তার থেকে এই প্রকল্পের সূচনা। তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক মাসের ৩০০০ টাকা পেতে হলে কৃষকদের কিছু অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।
আজকের এই প্রতিবেদনে কিভাবে এই প্রকল্পে বা Scheme নাম নথিভুক্ত করবেন, কত টাকা বিনিয়োগ করবেন এবং কারা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য সমস্ত কিছুই জানাবো। প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আবেদন করার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তবে আপনি ৩০০০ টাকা করে পাবেন কিন্তু ৬০ বছর বয়সের পর থেকে। যেমন কাজ থেকে অবসর গ্রহণের পরে পেনশন পাওয়া যায় ঠিক ৬০ বছর পর থেকে আপনি পেনশন এর মতন ৩০০০ টাকা করে পাবেন।
কীভাবে এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারবেন
এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে যোগ্য কৃষকদের একটি পেনশন তহবিলে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে কৃষকের বয়স যদি ২৯ বছর হয় তাহলে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে রাখতে হবে সেই স্কিমে। কেন্দ্রীয় সরকার এই টাকা জীবন বিমা কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত একটি পেনশন তহবিলে জমা করে। বর্তমানে 19,47,588 জন কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনায় নাম লিখিয়েছেন। যদি বিনিয়োগ করার মধ্যেই কোন কৃষকের মৃত্যু হয় তাহলে পেনশনের ৫০ শতাংশ তার স্ত্রীকে দিয়ে দেওয়া হবে।
কীভাবে করবেন আবেদন
১)প্রথমে কৃষকদের কাছের কমন সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে।
২) কৃষকের আধার কার্ড এবং IFSC কোড সহ সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর থাকতে হবে।
৩ ) উদ্যোক্তা আধার নম্বর, গ্রাহকের নাম এবং জন্ম তারিখ যাচাই করবেন।
৪ ) গ্রাম পর্যায়ের অফিস থেকে প্রথমে অনলাইন নাম নথিভুক্ত করতে হবে , যার মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা দিতে হবে।
আরও পড়ুন, কৃষকদের জন্য সরকার নিয়ে আসলো নতুন এই স্কিম, এর মাধ্যমে তাদের 1000 টাকা করে দেওয়া হবে
৫ ) সেই ক্ষেত্রে সিস্টেমে গ্রাহকের বয়সের উপর ভিত্তি করে মাসিক টাকার পরিমাণ গণনা করা হয়।
৬ ) গ্রাহক গ্রাম পর্যায়ের অফিসে প্রথমে নগদে সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ দেয়।
৭ ) এই পর্বে একটি আপনার নাম সহ অটো ডেবিট ম্যান্ডেট ফর্মটি প্রিন্ট করা হয়। এখানে গ্রাহকের স্বাক্ষর আপলোডের জন্য VLE স্ক্যান করা হয়।
৮ ) শেষে আপনি শেষ পর্বে একটি অনন্য কিষাণ পেনশন অ্যাকাউন্ট নম্বর (KPAN) ও একটি প্রিন্টেড কিষাণ কার্ড পাবেন।
আপনি যদি কৃষাণ মানধণ যোজনার বা Kisan Maandhan Yojana মাধ্যমে বয়সকালে পেনশন মাফিক ৩০০০ টাকা করে পেতে চান তাহলে এখনি এই স্কিমে নাম নথিভূক্ত করুন। বয়সকালে কোন চিন্তা ছাড়াই পেনশনের সুবিধা লাভ করার উপযুক্ত স্কিম এটি। এই সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট কে ফলো করে রাখতে পারেন।
Written by Shampa Debnath.