E Shram Card এ আবেদনের মাধ্যমে পেয়ে যান এই সকল সুবিধা।

E Shram Card ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে দেশের সকল অসংগঠিত শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য এই প্রকল্প শুরু করে। ই শ্রম কার্ড বা লেবার কার্ড নামে আমরা সকলে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পকে জানি। এই E Shram Card ভারত সরকারের শ্রম দফতর এর তরফে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তৈরি করা হয়ে থাকে।

E Shram Card এর মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পে পেয়ে যান এই সুবিধা গুলি।

E Shram Card এর জন্য দেশের সকল শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা আবেদন করতে পারবে। যেমন – রাজমিস্ত্রি, কারখানার শ্রমিক, গাড়ি চালক, ডেলিভারি বয় বা গার্ল, কৃষক, আশা কর্মী, পরিচারক, পরিচারিকা, ফেরিওয়ালারা, ইট ভাটা শ্রমিক, মাঝি, সব্জি বিক্রেতা ইত্যাদি সকলে এই ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে। এক সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমানে দেশের প্রায় ৩৮ কোটি শ্রমিক এই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কি আদৌ পাওয়া যাবে এই মাসে?

E Shram Card এ আবেদনের পরে সকল আবেদনকারীকে ১২ সংখ্যার এক UAN – Universal Account Numbar দেওয়া হবে। এই আলোচনাতে আমরা ই শ্রম কার্ডের আবেদনের পদ্ধতি, নিয়ম, বয়স সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।

E Shram Card আবেদনের যোগ্যতাঃ-
১. মূল রূপে সকল ভারতীয় নাগরিকরা এই ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২. ১৮ বছর বয়স হলে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে।

৩. ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৪. Income Tax দেওয়া নাগরিকরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
৫. যেই সকল নাগরিকরা EPFO – Employees Provident Fund Organization এর সদস্য নন তারা এই আবেদনের যোগ্য।

E Shram Card আবেদনের প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-
১. ই শ্রম কার্ডে আবেদনের জন্য আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
২. প্যান কার্ড থাকতে হবে।
৩. নিজের নামে ব্যাংক এর পাসবই থাকা বাধ্যতামূলক।
৪. মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
৫. মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার কম হতে হবে।

E Shram Card আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১. অনলাইনের মাধ্যমে এই আবেদন করতে হবে।
২. www.eshram.gov.in এই ওয়েবসাইট খুলে নিতে হবে।
৩. রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৪. নিজের আধার কার্ড নাম্বার ও মোবাইল নম্বর দিয়ে দিতে হবে।

৫. মোবাইল নম্বরে একটা OTP – One Time Password আসবে সেটা লিখে দিতে হবে।
৬. এর পরে একটা অনলাইন ফর্ম খুলবে, সেখানে নিজের নাম, ঠিকানা, কোন কাজের সঙ্গে নিযুক্ত সেটা লিখতে হবে, বয়স লিখে দিতে হবে।
৭. জেনে রাখা ভালো নির্ভুলভাবে ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। কোন ধরণের ভুল হলে আবেদন বাতিল করা হতে পারে।
৮. এর পরে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।

E Shram Card এর সুবিধাঃ-
১. ই শ্রম কার্ড এই প্রকল্পের অন্তর্গত সকলকে দুর্ঘটনা বীমা দেওয়া হবে।
২. এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা থাকলে ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় সরকারি সকল প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
৩. শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশুনার খেয়াল সরকারের তরফে রাখা হবে।
৪. ই – শ্রম কার্ড থাকলে আবাস যোজনাতে নাম নথিভুক্ত করাতে সুবিধা হতে পারে।

 সন্তানের ভবিষ্যত সুগম করবে পোস্ট অফিসের এই স্কিম, মিলবে মাসিক 1925 টাকা।

এই সামান্য কিছু নিয়ম মেনে E Shram Card এর জন্য আবেদন করলে আপনি এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। এছাড়াও আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য – ১৪৪৩৪ ও ০১১ – ২৩৩৮ ৯৯২৮ অথবা eshram-care@gov.in এই খানে ই – মেল পাঠাতে পারেন। এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।

Leave a Comment