WB SSC Scam – কলকাতা হাইকোর্টের নতুন নির্দেশে চাপে শিক্ষকরা।
বিগত বেশ কিছু সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (WB SSC Scam) সংক্রান্ত মামলা চলে আসছে। এবার এই মামলাতেই এসেছে নতুন মোড়! সিআইডির তদন্তে খুশি নয় আদালত! গঠিত হতে চলেছে নতুন কমিটি! এই কমিটির কাজ কী? কেনই বা গঠন করা হচ্ছে এই কমিটি? এইসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আজকের প্রতিবেদনে।
বিগত বেশ কিছু সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (WB SSC Scam) মামলা। এখনও পর্যন্ত একাধিক ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান পেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছেন একাধিক নেতা মন্ত্রীও। ধীরে ধীরে সবকিছুই সামনে আসছে। এবার খবর পাওয়া যাচ্ছে নতুন ভুয়ো শিক্ষকের। তিনি মুর্শিদাবাদের গোতা হাই স্কুলের শিক্ষক। তাঁর নাম অনিমেষ তিওয়ারী। ১ লা সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু অনিমেষ তিওয়ারির বি এড সার্টিফিকেট চেক করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁর সার্টিফিকেট নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
পুজোর আগে সমস্ত রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেবে রাজ্য সরকার, জানুন কীভাবে পাবেন?
জানা যাচ্ছে, অনিমেষ তিওয়ারির বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি যেই স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে ছিলেন, নিজের সূত্র কাজে লাগিয়ে ছেলেকেও সেই স্কুলে চাকরি পাইয়েছেন। তবে অনিমেষ তিওয়ারি যেই বি এড সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন, তিনি আদতেও উল্লেখিত কলেজ থেকে এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন কিনা তা জানা যায়নি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব এই কমিটি গঠনের কাজ যেন শেষ হয়। এই কমিটির প্রধান কাজ হবে ভুয়ো শিক্ষকদের ব্যাপারে তল্লাশি করা আর শিক্ষক নিয়োগে যে সমস্ত অনিয়ম হয়েছে সেই সব খুঁজে বের করা। এই কমিটিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব ও শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক যুক্ত থাকবেন।
কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (WB SSC Scam) সিআইডি -র উপর অগাধ আস্থা রেখেছিল। কিন্তু সেই আস্থা বজায় রাখতে পারেনি সিআইডি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে যে রিপোর্ট সিআইডি পেশ করেছে তাতে বেশ কিছু অসংগতি লক্ষ্য করা গেছে। এদিন মোট ৬ টি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু কোথাও ‘কিভাবে পরিকল্পনা করে দুর্নীতি সংঘটিত করা হয়েছিল?’ তার উল্লেখ নেই। এমনকি ভবিষ্যতে দুর্নীতি কিভাবে আটকানো যাবে, সেই সম্পর্কেও কোন তথ্যের উল্লেখ ছিল না, রিপোর্টে। এই কারণে সিআইডির পেশ করা রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট হননি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে বেতন বাড়ছে সরকারি কর্মীদের। মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত।