School Uniform – স্কুল ইউনিফ্রম নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের, সবাইকে নতুন করে স্কুল ড্রেস বনাতে হবে।

School Uniform – সব ছাত্র ছাত্রীদের মানতে হবে নতুন এই নিয়ম।

গতবছর স্কুল ইউনিফ্রম (School Uniform) কে ঘিরে রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একই ইউনিফ্রম পড়তে হবে। তার রঙ হবে নীল সাদা রংয়ের। এহেন সিদ্ধান্তে গত বছর দেখা যায় বেশিভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করে এছাড়া অনেক স্কুল ছাত্রছাত্রী রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল করে সরকারের দেওয়া এই ইউনিফ্রম নিতে অস্বীকার করে।

নতুন করে এই সেপ্টেম্বরে আবার রাজ্য সরকার ঘোষনা করলেন বাংলার প্রতিটি স্কুলে নীল সাদা ড্রেসকেই (School Uniform) মান্যতা দিতে হবে। আর সেই পদক্ষেপ এবারে জোরদারে হতে চলেছে। গত বছর সরকার থেকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও স্থগিত হয়ে গেছিলো। এবছর পুনরায় ঘোষনা করা হয়েছে প্রত্যেক বিদ্যালয় কে একই পোশাক নীল সাদা রঙের পরিধান করতে হবে। এই নিয়মের কোনো অন্যথা হবে না। দূর্গা পূজার পর প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী কে সরকারের দেওয়া এই পোশাক পরেই স্কুলে আসতে হবে।

RBI এর কোপে পড়ে লাইসেন্স বাতিল সহ জরিমানা হল 4 টি জনপ্রিয় ব্যাংকের, বন্ধ সব ধরনের লেনদেন।

বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীরা এই ড্রেস তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে মালদহের একটি স্কুলে এই ড্রেস বিতরণ শুরু করা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে সমস্ত স্কুলে সরকারের এই নীল সাদা ড্রেস বিলি করার কথা জানা গিয়েছে। এই ড্রেসের জন্য কোনো অর্থ লাগবেনা। সরকার থেকে বিনা পয়সায় এই ড্রেস দেওয়া হবে।

আগের বছর একই স্কুল ড্রেস সমস্ত স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা পড়বে এমন সিদ্ধান্ত যেমন স্কুল কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়নি তেমনি স্কুল ছাত্রদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল এবারও তেমনি ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবারও পথে নামতে পারে প্রতিবাদী মিছিল রাজ্যের একাংশের মতে এমনি ভাবনা উদয় হয়েছে।

এর একটাই কারণ প্রতিটি স্কুলের নিজস্ব একটা স্বত্ত্বা আছে, নিজেদের স্কুলের ড্রেসের (School Uniform) একটা ঐতিহ্য রয়েছে। এছাড়া রাস্তা দিয়ে যখন কোনো ছাত্র ছাত্রী কোন স্কুলের ড্রেস পড়ে যায় তখন অন্যরা ড্রেস দেখেই চিনে ফেলতে পারে ছাত্র ছাত্রী টি কোন স্কুলের। ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও তাদের স্কুলের ড্রেসের প্রতি একটা ভালোলাগা আছে। তাই তাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে সরকারের দেওয়া একই স্কুল ড্রেস সব স্কুলের জন্য হওয়ায়।

অন্যদিকে, বাংলার কিছু স্কুল অনেক পুরনো ও মান গত দিক দিয়েও ভালো। তাদের স্কুল হয়তো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে ভালো ফল করে তাই তাদের আর অন্যান্য স্কুলে যদি একই ড্রেস হয়ে যায় তাহলে তাদের স্কুল কে অন্যান্য স্কুল থেকে আলাদা করা যাবে না।

অপরপক্ষে সরকারের মতানুযায়ী, তারা চান বাংলার প্রত্যেক স্কুলে একই ড্রেস (School Uniform) হলে তাদের মধ্যে একটা একসাথে একভাবে চলার মনোভাব জন্মাবে। তাদের মধ্যে একটা ঐক্য বোধ গড়ে উঠবে। স্কুল ছাত্রছাত্রীর দের মধ্যে বিভাজন কমে গিয়ে একতা বেড়ে যাবে। তাদের মধ্যে সবার সাথে মিলেমিশে থাকার প্রচেষ্টা গড়ে উঠবে। এই চিন্তা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার বাংলার প্রতিটি স্কুলে সাদা নীল রঙের একই ড্রেস পরিধান করার ভাবনা চিন্তা করেছে।

পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে DEleD কোর্সে ভর্তি শুরু হলো। প্রাথমিক শিক্ষক হতে চাইলে আজই আবেদন করুন।

অন্যদিকে, কিছু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে জনতার একাংশের মতে স্কুল ইউনিফ্রম প্রতিটি স্কুলে এক হওয়াকে তারা সমথর্ন করছে না। ড্রেসের রং দিয়ে প্রতিটি স্কুল কে আলাদা করা যায়। যেমন প্রতিটি স্কুলের আলাদা নাম থাকে। নাম দিয়ে চেনা যায় কোনটি কোন স্কুল। সেভাবে নামের মধ্য দিয়ে কোনো স্কুলের গুণগত মান কেও চিহ্নিত করতে পারা যায়।

তেমনি কোনো স্কুল ড্রেস পড়া ছাত্র ছাত্রী হারিয়ে গেলেও তাদের ড্রেস (School Uniform) থেকেই বলে দেওয়া যায় সে কোন স্কুলের। এক্ষেত্রে সমস্ত স্কুলের ড্রেস এক হয়ে গেলে সেই দিকেও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে। ছাত্র ছাত্রীদের মনেও এর খারাপ প্রভাব পড়বে। তাদের প্রতিবাদ মিছিলে সরব হতে পারে রাজ্য রাজনীতি এমনটাই আশঙ্কা একাংশের।
Written by Shampa Debnath

Leave a Comment