সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া DA বা Dearness Allowence নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে সরকার। আগামীকাল এমনই অভিযোগ করলেন কর্মচারীদের একাংশ। DA নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কর্মীদের এই সংগ্রাম অনেক দিনের। কিন্তু এই সংগ্রাম কমার থেকে প্রতিদিন যেন বেড়েই চলেছে। প্রথমে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের নবান্ন অভিযান। মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, মুখ্যসচিবকে চিঠি লেখা থেকে শুরু করে এখন এই মামলা সুপ্রিম কোর্টের দরজায়।
DA নিয়ে তবে আদালতের শেষ রায় কি হবে!
নিজেদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার জন্য প্রথমে কর্মীরা কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন এবং তারা এই মামলায় বিজয়ী হন। ২০ মে ২০২২ এ আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে সকল বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু এই আদেশ পশ্চিমবঙ্গ সরকার না মেনে পুনরায় বিচারের জন্য পিটিশন দাখিল করে। কিন্তু এই পিটিশনে কান না দিয়ে আদালত নিজেদের ২০ মে দেওয়া নিজেদের আদেশ কেই মান্যতা দেয়।
কিন্তু এখানে ক্ষান্ত না হয়ে রাজ্য সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মামলা করে সরকার। তাদের বক্তব্য ছিল – DA দিলে রাজ্যের ওপরে এক চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কট আসতে পারে। এই নিয়ে আগেও ২৮ শে নভেম্বর ও ৫ ই ডিসেম্বর এই সুনানি বিচারপতি দীনেশ মাহেস্বরি ও হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে উঠেছিল কিন্তু এই মামলার পরবর্তী সুনানি আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ ই ডিসেম্বর ২০২২ ফের মামলার সুনানি আছে।
DA নিয়ে সরকার তরফে বড় খবর, আগামী মাস থেকে 7% বাড়বে মহার্ঘ্য ভাতা।
এবার সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ নিয়ে যেই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেই নিয়ে অভিযোগ তুলছেন কর্মচারীদের অধিকাংশ। রাজ্যের পক্ষ থেকে উকিলরা জানিয়েছেন প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু এই পরিসংখ্যান ভুল বলে মনে করছেন অনেকে কেন জেনে নিন। দুই দফায় অর্থাৎ ২০০৬ সালের ১ লা জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এবং ২০০৮ সালের ১ লা এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই হিসাব পেস করা হয়েছে।
আর এই জিনিস কেই ঠিক বলে মনে করছেন না রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অনেকে। প্রথম দফায় ৪২,০০০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আর এরই সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করার জন্য দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৩৯,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই পরিসংখ্যান কেও ঠিক বলে মানতে পারছেন না অনেকে।
এবার এমন কথা বলার কি কারন সেটাও জানিয়েছেন রাজ্য সরকারী কর্মী সংগঠনের তরফ থেকে। ২০০৬ সালের জুলাই থেকে ২০০৮ এর মার্চ পর্যন্ত DA পাননি অনেকে তাই এই সকল হিসাব করলে দেখা যাবে এই অঙ্ক বাড়তে পারে। এই সকল হিসাব পঞ্চম বেতন কমিশনের অন্তর্গত বলে জানা যাচ্ছে।
এবার দ্বিতীয় দফার ক্ষেত্রে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতার হিসাব দেওয়া উচিত ছিল বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
এই সকল কিছু নিয়েই অনেকের অভিযোগ রাজ্য সরকার ভুল হিসেব পেস করেছে আদালতে। Confederation Of State Government Employees এর General Secratory আরও বলেছেন সকল বেতন কমিশনের মেয়াদ ১০ বছরের হয় আর কোন কমিশন গঠনের ৬ মাস পর থেকে DA পাওয়া যায়। সেটা মনে হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জানা ছিল না। এই সকল বিষয় নিয়ে আপনাদের মন্তব্য নিচে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভাল লাগলে সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন।