Taruner Swopno Scheme – ৫ই সেপ্টেম্বর থেকে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা দেওয়া শুরু।
পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গে একগুচ্ছ প্রকল্প (Taruner Swopno Scheme) চালু আছে। সেগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হল- সবুজ সাথী, ঐক্যশ্রী, ওয়েসিস । শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে আরও একবার দাঁড়াতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কাল ৫ ই সেপ্টেম্বর। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্ম দিবস উপলক্ষে ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করা হয়। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্য সরকার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন একটি প্রকল্পের সূচনা করেছে। কাল সেই টাকাই হাতে তুলে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের। ১০ হাজার টাকা পেতে চলেছে শিক্ষার্থীরা। তবে এই টাকা কন্যাশ্রী -র নয়, বা অন্য কোনও স্কলারশিপেরও নয়। ছাত্র-ছাত্রীরা স্মার্টফোন কিনতে এই টাকা পাবে। হ্যাঁ একদম ঠিক পড়লেন, স্মার্ট ফোন কিনতে।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প (Taruner Swopno Scheme) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে শুরু হয়েছিল। আসলে সেই সময় করোনা -র ভয়াবহ প্রকোপ ছিল। তাই অনলাইনে পড়াশোনা থেকে পরীক্ষা সবটা চলত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যেখানে ২১ শতাংশ পরিবারের কাছে পড়াশুনাই বিলাসিতা, সেখানে স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য অনেকেরই থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। এই কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কানে পৌঁছানো মাত্রই তিনি শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের সূচনা করেন।
বেকারত্বের দিন শেষ! পূজোর আগে রাজ্যের পঞ্চায়েত গুলিতে 7000 এর ও বেশি শূন্যপদে বিরাট নিয়োগ।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে। কাল রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষক দিবস পালন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উচ্চমাধ্যমিক স্তরের যে সমস্ত পড়ুয়ারা উপস্থিত থাকবে, তাদের নিজের হাতে টাকা তুলে দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। আর বাকিদের টাকা অন্যান্য শিক্ষাবর্ষের ন্যায় নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। এই টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ফোন অথবা ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ কিনতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা পরিচালিত সমস্ত স্কুল ও মাদ্রাসাগুলির উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। অবশ্য এর কিছু শর্ত রয়েছে।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে (Taruner Swopno Scheme) আবেদন করার শর্তাবলী :-
১. পড়ুয়াকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
২. নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
৩. পারিবারিক বার্ষিক আয় ২ লাখ টাকার কম হতে হবে।
৪. সরকারি বা সরকার দ্বারা পরিচালিত স্কুল অথবা মাদ্রাসার উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী হতে হবে।
এই প্রকল্পে আবেদন করার কোনো নির্দিষ্ট অনলাইন পদ্ধতি নেই। স্কুল মারফত সরাসরি রাজ্য সরকারের কাছে শিক্ষার্থীদের তথ্য চলে যায়। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা ৮ লাখের বেশি ছাত্র-ছাত্রীরা পেয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের বিবরণ যাচাইয়ের পর তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকা ঢুকে যায়।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা। কোন কোন দিন বন্ধ থাকবে স্কুল কলেজ, সরকারি অফিস।