Post Office Franchise – পোস্ট অফিসের সাথে ব্যবসা করে মাসে লাখ টাকা আয় করার সহজ উপায় শিখে নিন
পোস্ট অফিস নিয়ে আসেছে সকল বেকার ছেলে মেয়েদের জন্য নতুন স্কিম যার মাধ্যমে তারা ব্যবসা বা Post Office Franchise করে অনেক অর্থ আয় করতে পারবেন। বর্তমানে সরকারি চাকরির যা অবস্থা তাতে রাজ্যের ছেলে মেয়েরা ডিগ্রি অর্জন করেও ঘরে ঘরে বেকার হয়ে বসে আছেন। যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত তারা যদিও বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেছেন কিন্তু যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা উন্নত নয় তাদের জন্য এই ব্যবসা।
Fhow to Start Post Office Franchise Business From Home
তবে আজকের এই প্রতিবেদনে খুব সহজেই আপনার আয় বাড়ানোর একটি উৎস আমরা বলতে পারি। জানতে সম্পন্ন প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।পোস্ট অফিস বা Post Office একটি পুরনো বিশ্বস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেখানে বিভিন্ন মানুষ ভবিষ্যতের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করেন এবং সেই অর্থ সুদ সমেত রিটার্ন পান বা পেয়ে থাকেন।
তবে এটা কি জানেন পোস্ট অফিসে খুব কম অর্থ বিনিয়োগ করে আপনি আয়ের সুযোগ পেয়ে যাবেন। একটি ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেক মূলধনের প্রয়োজন হয় যেটা সবার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তবে কম পুজিতেও ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন সেই সুযোগ করে দিচ্ছে পোস্ট অফিস।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক ব্যাপারটি আসলে কি
পোস্ট অফিসের মাধ্যমে যে ব্যবসাটা শুরু করার কথা বলা হচ্ছে সেটি হল পোস্ট অফিসের ফ্রাঞ্চাইজি বা Post Office Franchise নেওয়ার ব্যবসা। এটা কিভাবে নেবেন দেশ জুড়ে প্রায় ১.৫৫ লক্ষ পোস্ট অফিস রয়েছে তবে এখনো অনেক জায়গায় পোস্ট অফিস পরিষেবা পাওয়া যায় না। তাই সে সমস্ত অঞ্চলের মানুষের অনেকটাই অসুবিধা হয় দূরবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে বিভিন্ন দরকারি কাজ সারতে।
তাই সরকার থেকে বিবর্ণ ব্যক্তিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে যদি কেউ এ পোস্ট অফিসের ফ্রাঞ্চাইজ এ নিতে চান তাহলে নিতে পারেন। পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি বা Post Office Franchise আউটলেট এবং ডাক এজেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি এই দুই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে আয় করতে পারবেন মানুষ।
কিভাবে আপনি আয় করতে পারবেন
পোস্ট অফিসের এই ফ্রাঞ্চাইজি বা Post Office Franchise নিয়ে আপনি সাধারণ মানুষকে পোস্ট অফিসের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন এবং এর থেকে করতে পারবেন প্রচুর আয়। সমস্ত বেকার যুবক যুবতিদের কথা মাথাতে রেখে এই স্কিম নিয়ে আসে পোস্ট অফিস তাছারা পোস্ট অফিসের যে অঞ্চলে এই পরিষেবা নেই তাদের জন্য অনেক লাভবান হবে। কম বিনিয়োগে বিপুল অর্থ আয় করার সুযোগ দিচ্ছে পোস্ট অফিসের এই নতুন ব্যবসা।
কিভাবে ফ্রাঞ্চাইজি পাবেন
সর্বপ্রথম এই সার্ভিস পাওয়ার জন্য আপনাকে কতগুলো নিয়ম পালন করতে হবে। আপনি যদি পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজ বা Post Office Franchise এ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তার জন্য সার্ভিস পাস করাতে হবে। আর এর জন্য বিনিয়োগ মূল্য অনেকটাই কম। কিন্তু আপনি যদি পোস্টাল এজেন্ট ফ্রাঞ্চাইজি নেন তাহলে এর জন্য একটু বেশি বিনিয়োগ করতে হতে পারে কারণ এতে আপনাকে স্টেশনারি জিনিসপত্র কিনতে হবে তাই খরচটা একটু বেশি পড়বে।
আধার কার্ড থাকলেই পেয়ে যান বিনামূল্যে গ্যাস, প্রধানমন্ত্রী নতুন এই প্রকল্পে কী ভাবে আবেদন করবেন?
পোস্ট অফিস খুলতে গেলে আপনার একটি ২০০ বর্গফুটের জায়গা প্রয়োজন হবে। পোস্ট অফিস খোলার আবেদন করতে সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা জমা করতে হবে এরপর পোস্ট অফিস ফ্রাঞ্চাইজি বা Post Office Franchise নেওয়ার পর আপনি সাধারণ মানুষদের পোস্ট অফিসের বিভিন্ন পরিষেবা দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি কমিশনও পাবেন। যেমন স্পীড পোষ্টের জন্য পাঁচ টাকা কমিশন, মানি অর্ডারের জন্য তিন থেকে পাঁচ টাকা কমিশন, পোস্টাল স্ট্যাম্প এবং স্টেশনারিতে ৫ শতাংশ কমিশন পাবেন।
ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য যোগ্যতার মানদন্ড
আপনি যদি পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি বা Post Office Franchise নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর। আপনাকে অবশ্যই একটা স্বীকৃত বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণী পাস করতে হবে। পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে এবং সার্ভিস পাস হওয়ার পর নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে পোস্ট অফিসের সঙ্গে এএমইউ স্বাক্ষর করতে হবে।
তারপরেই আপনি পোস্ট অফিসের ফ্রাঞ্চাইজি বা Post Office Franchise পেয়ে যাবেন এবং পোস্ট অফিস খুলে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে পারবেন এবং এর থেকে আপনি একটি লাভবান উপার্জন করতে পারবেন । সরকারি চাকরির জন্য হন্যে হয়ে বসে না থেকে অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে পোস্ট অফিস থেকে এই ব্যবসা শুরু করা একটি উত্তম প্রচেষ্টা তাই আর দেরি না করে আবেদনটি সেরে ফেলুন। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পোস্ট অফিসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন।
Written by Shampa Debnath.
