Lakshmir Bhandar – লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে হলে এই কাজ করতে হবে

Lakshmir Bhandar Scheme: মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। ২০১১ সালের মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিনব একটি প্রকল্পের সূচনা করেন যার মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক ভাতা পেয়ে থাকেন। এখনো আমাদের রাজ্যের অনেক দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারা রয়েছেন যারা আত্মনির্ভরশীল নন কিংবা নিজের পায়ে এখনো দাঁড়াতে পারেননি।

Lakshmir Bhandar Scheme – লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প

সে সমস্ত মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল করার জন্যই এই অভিনব প্রকল্পের প্রচেষ্টা। এই বিগত কয়েক বছরে অনেক মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যাংকের ভান্ডার ভরাতে পেরেছেন এবং তাই দিয়ে নিজের এবং নিজের পরিবারের অনেকটাই আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পেরেছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার বা Lakshmir Bhandar প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য এবং জাতীয় উপজাতির মহিলাদের জন্য দুই রকম ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যদিও ভাতার পরিমাণ আগে থেকে বর্তমানে কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে আর সেই অনুযায়ী বর্তমানে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি উপজাতি মহিলারা প্রতিমাসে ১২০০ টাকা পান। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন যাতে খুব সহজভাবে সবাই করতে পারেন তার জন্য 2021 সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু করা হয়।

বছরে ২ থেকে ৩ বার এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী গতবছর ডিসেম্বরে সর্বশেষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসেছিল এরপরে লোকসভা ভোট থাকার জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসানো হয়নি তবে জানা যাচ্ছে খুব সম্প্রতি আবারো লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসানো হবে l

তবে এখনো সরকার থেকে কোন নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি তবে মনে করা হচ্ছে জুলাই মাসে শেষের দিকে কিংবা আগস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ফের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আপনারা যারা এখনো লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করেননি, তারা এই বারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে।

আরও পড়ুন, মহিলাদের নগদ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট সঞ্চয় প্রকল্পের সুবিধা জেনে নিন।

সেই আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে তার সাথে আধার কার্ড, ব্যাংকের বইয়ের শেষ পাতার কপি, ভোটার কার্ড, বাসিন্দা সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জেরক্স কপি জমা দিতে হবে। এরপরেই আবেদন পত্র জমা হওয়ার পরে আবেদনপত্রে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারে আপনার ফর্ম একসেপ্ট করা হয়েছে এবং টাকা পাওয়ার ম্যাসেজ পাবেন।

ম্যাসেজ এলেই বুঝতে পারবেন আপনার ব্যাংকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতা ঢুকে গেছে। যারা এখনো লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেননি, তারা একটু খোঁজ রাখবেন দুয়ারে সরকারে ক্যাম্প কবে বসতে চলেছে। এছাড়া আমরাও আমাদের পেজে এই সংক্রান্ত খবর আপডেট করব তার জন্য চোখ রাখতে হবে আমাদের এই পেজে।
Written by Shampa Debnath.

Leave a Comment