Dearness Allowance- বকেয়া ডিএ দিতে বাধ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, এই মুহূর্তের বড় আপডেট।

নতুন বছরে নিজেদের ন্যায্য বকেয়া Dearness Allowance অর্থাৎ DA পাওয়ার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মচারীদের একত্রিত সংগঠন যৌথ মঞ্চ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ২০২৩ সালে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি ৩৫% মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। এছাড়াও সকল চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের সমান বকেয়া দিতে হবে।

Dearness Allowance কবে দেবে এবং কোন পদ্ধতিতে দেখেনিন।

রাজ্যে বর্তমানে সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলিতে কর্মচারীদের অভাব রয়েছে এর ফলে নাগরিকদের পরিষেবা দিতেও অসুবিধে হচ্ছে এই সমস্যার সমাধানও রাজ্য সরকারকে করতে হবে। বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে এই Dearness Allowance এর মামলা। রাজ্য সরকারী কর্মীরা নিজেদের ন্যায্য দাবি পুরনের জন্য কখনো মুখ্যসচিব, অর্থসচিব থেকে শুরু করে নবান্ন অভিযান ও কলকাতা হাইকোর্ট এই সকল কিছু করেছেন শুধুমাত্র নিজেদের দাবি পূরণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ৬ বছর পার হয়ে গেলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।

জেনে রাখা ভাল যে চলতি বছরের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অবিলম্বে সকল কর্মচারীদের বকেয়া রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই পথে হাটেনি সরকার। এই অনড় মনোভাবের জন্য কর্মচারী ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বেড়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও Dearness Allowance না দিয়ে রাজ্য সরকার এখন সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে হাজির হয়েছে।

ব্যাংকের সুদ থেকে রান্নার গ্যাসের দাম, পহেলা জানুয়ারি থেকে বদলে যাচ্ছে প্রচুর নিয়ম, না জানলে বিপদে পড়বেন।

তাদের বক্তব্য মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের খাঁড়া ঝুলবে তাই কোন মতেই ডি এ দেওয়া যাবে না। এর অতিরিক্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আরও বক্তব্য হচ্ছে করোনা মহামারীর সময়ে স্কুল সহ সকল সরকারী অফিস আমারা বন্ধ রেখেছিলাম সকলের স্বাস্থ্যর কথা ভেবে কিন্তু আমরা কোন সরকারী কর্মচারীদের মাইনে দেওয়া বন্ধ করিনি।

কিছু বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে রাজ্য সরকারের এই যুক্তি হাইকোর্টে যেমন টেকেনি, তেমনই সুপ্রিম কোর্টেও টিকবে না। আগামী ১৬ ই জানুয়ারি ২০২৩ সুপ্রিম কোর্টে এই Dearness Allowance মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই শুনানিতে কি ফয়সালা হতে চলেছে সেই দিকেই নজর সকলের। এই নিয়ে যৌথ মঞ্চের সদস্যদের মত জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন – আমরা সকলেই আশাবাদী হাইকোর্টের মত সুপ্রিম কোর্টেও আমাদের জয় হতে চলেছে ও আমরা নিজেদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছি।

কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যদি এবারেও কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ডি এ না দেওয়া হলে ২০২৩ সালে এক বৃহত্তর আন্দোলনের সম্মুখীন হতে হবে সরকারকে। এছাড়াও প্রয়োজন পড়লে আমরা ধর্মঘটের বা কর্মবিরতির রাস্তাও বেঁছে নিতে পারি। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপরে সব কিছু নির্ভর করছে তারা শেষ অব্দি কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।

এছাড়াও যৌথ মঞ্চের আরও বক্তব্য নিজেদের ন্যায্য পাওনার দাবি করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে নিজেদের কর্মচারীদের ওপরে এই ব্যবহার আশা করা যাচ্ছে না। আন্দোলন করলে পুলিশ দিয়ে সেই আন্দোলন রুখে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য কর্মচারীদের হেনস্থা করা হয়েছে। অনেক কর্মচারীদের কামড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের মর্জি অনুসারে কর্মচারীদের বদলি করা হচ্ছে, নতুন নিয়োগ একেবারে বন্ধ।

নতুন বছরে SBI এর গ্রাহকদের জন্য মস্ত বড় খুশির খবর। ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়ালো SBI.

রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের সম বেতন দেওয়ানো নিয়েও আন্দোলন করা হবে বলে জানানো করা হয়েছে। এবার এই Da মামলার দিক নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ওপরে।
এই নিয়ে আপনাদের মুল্যবান মতামত নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরনের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।

Leave a Comment