Birth Certificate – আগামী ১লা অক্টোবর থেকে বাধ্যতামূলক নথি হিসাবে বার্থ সার্টিফিকেটকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকার থেকেই এমনই ঘোষণা।
একটি শিশুর জন্মের পর (Birth Certificate) তার প্রথম নিজের অধিকার রক্ষার জন্য ও এই দেশের একজন নাগরিক হিসাবে প্রমাণ করার জন্য তার জন্ম পত্র প্রয়োজন হয়। আর এই জন্ম নিবন্ধন পত্র কেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে দেখবেন কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন পর্যন্ত আঁধার কার্ড কেই সবক্ষেত্রে আবশ্যিক বলে ধরা হতো।
১লা অক্টোবর থেকে বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) কেই প্রধান নথি হিসাবে পরিগণিত করা হবে। কিছুদিন আগেই জন্ম মৃত্যু নিবন্ধ সংশোধনী আইন ২০২৩ পরিবর্তন হয়েছে। তাই সেই দিক থেকেই বিচার করে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কাজে এবার থেকে প্রধান নথি হিসাবে বার্থ সার্টিফিকেট কেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি, বেসিরকারি কাজে আঁধার কার্ড ছাড়াও অন্যান্য নথি দেখাতে হতো। এত রকম নথি নিয়ে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়তো। এখন থেকে শিশুর স্কুল ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে কলেজ, চাকরির ক্ষেত্রে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আই কার্ড তৈরিতে এই বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) কেই দেখতে চাইবে। তেমনি ঘোষণা সরকারের। তবে প্রত্যেকের বাড়িতে যে পাতলা কাগজের মতো বার্থ সার্টিফিকেট আছে সেটা দেখালে হবে না। আঁধার কার্ড, আই কার্ড, প্যান কার্ডের মতন ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেট করতে হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) কে প্রধান নথি হিসাবে ব্যাবহার করার জন্য ১৯৬৯ সাকে তৈরি হওয়া জন্ম মৃত্যু রেজিষ্টেশন আইন বদলে দিয়ে ২০২৩ সালে ১লা আগস্ট নতুন আইন পাশ করেন যেটি জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন আইন বলে পরিচিত। আগের আইনের থেকে ১৪ টি পয়েন্ট সংশোধন করে নতুন এই আইন কার্যকরী করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী এই কথাও জানিয়েছেন, একটি শিশুর জন্মের ৩০ দিনের মধ্যেই তার বার্থ সার্টিফিকেট করিয়ে নিতে হবে। সরকার থেকে খুব দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে অন্যান্য নথির মতন বার্থ সার্টিফিকেট কে ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া। আশা করা যাচ্ছে খুব তারাতারি সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। এবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি কাজে আপনাকে অন্যান্য নথির আগেই বার্থ সার্টিফিকেট কে সঙ্গে নিতে হবে।
Written by Shampa Debnath
হাতে মাত্র দুই দিন। ব্যাংক ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নথি গুলো জমা দিন।