Bank vs Post Office: বর্তমানে যে হারে মুদ্রস্ফীতির হার বেড়ে চলেছে তাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও অনেক অংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাসিক খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রত্যেকটি ব্যক্তি যে পরিমাণ উপার্জন করুক না কেন তিনি চান ভবিষ্যতের জন্য কিছুটা অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে। তবে আগেকার দিনে ব্যাংকে টাকা ইনভেস্ট করতে দেখা যেত বেশিরভাগ ব্যক্তিকে। তবে বর্তমানে ফিক্সড ডিপোজিট এর ওপরে বেশিরভাগ মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Bank vs Post Office – ব্যাংক নাকি পোস্ট অফিস
এর কারণ ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম প্রচুর রয়েছে যেগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ বিভিন্ন রকম এবং সুদের হার ও অধিকাংশই বেশি পাওয়া যায়। তবে কষ্ট করে উপার্জন করা অর্থ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে সবাই বেছে নেয় নিরাপত্তা ও ভরসাযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে। ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস এই দুটি ভরসাযোগ্য ও নিরাপত্তাযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবুও বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন রকমের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে যে হারে সুদ দিচ্ছে তার থেকে পোস্ট অফিসে অনেক অংশে বেশি সুদ দিচ্ছে (Bank vs Post Office).
যেহেতু পোস্ট অফিস কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং এখানে টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ভরতা পাওয়া যায় তাই অনেক মানুষ পোস্টঅফিসে বিনিয়োগ করতে সুরক্ষিত ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আর অন্য একটি সুবিধা হল পোস্ট অফিস শিশু থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সের জন্য বিভিন্ন রকম স্কিম এনেছেন এবং তাতে যে সুদের পরিমাণ রয়েছে সেটি ব্যাংকের সুদের পরিমাণ থেকে অনেকটাই বেশি। এছাড়া আপনি পোস্ট অফিসে খুব নূন্যতম পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারেন বিভিন্ন স্কিমে (Bank vs Post Office).
অনেকের মধ্যে একটি চিন্তা লক্ষ্য করা যায় পোস্ট অফিস না ব্যাংকে কোন জায়গায় বিনিয়োগ করলে বেশি লাভ হবে ? সুদের পরিমাণ ও আরো অন্যান্য কিছু বিচার বিবেচনা করে বলা যায় পোস্ট অফিস বেশি পরিমাণে সুদ দিয়ে থাকে বিভিন্ন ব্যাংকের থেকে। এছাড়া আরো অনেক কিছু সুবিধা রয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদনে পোস্ট অফিসে টাকা বিনিয়োগ করলে কি কি সুবিধা পেতে পারেন আপনি সেই সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। আপনি যদি জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন (Bank vs Post Office).
১) সর্বপ্রথম পোস্ট অফিস যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দিক থেকে পোস্ট অফিস একটি নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।
২) এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এসবিআই এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের থেকে পোস্ট অফিসের সুদের পরিমাণ অনেকাংশে বেশি। এক্ষেত্রে আপনার বেশি টাকা লাভ পাওয়ার জন্য পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করা অনেকটাই লাভজনক হবে।৩) এছাড়া পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করলে আপনি আয়কর ছাড়ের সুযোগ পাচ্ছেন এদিক থেকে আপনার অনেকটাই লাভ হচ্ছে।
৪) বিভিন্ন ব্যাংকে অনেক সময় দেখা যায় একটা ফিক্সড রেট থাকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিন্তু পোস্ট অফিসে আপনি ন্যূনতম ১০০০ টাকা দিয়েও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এর জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করা অনেকটাই সহজতর হয়েছে। এছাড়াও সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রেও কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ নেই। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি যতটা বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক হন ততটাই করতে পারবেন।
৫) পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করলে আপনি বছরের ভিত্তিতে সুদ পাবেন এছাড়া ত্রৈমাসিক ভিত্তিতেও চক্রবৃদ্ধি সুদও পেতে পারেন।
বর্তমানে পোস্ট অফিসে সুদের পরিমাণ কত
আপনি যদি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ফিক্সড ডিপোজিট করেন সেক্ষেত্রে 2020 1লা এপ্রিলের সংশোধিত রেট অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত একই সুদের রেট রয়েছে সে অনুযায়ী বলা যায় 1 বছরের মেয়াদে আপনি টাকা বিনিয়োগ করলে ৫.৫ শতাংশ সুদ পাবেন। তবে মেয়াদ অনুসারে এই সুদের হার বাড়তে পারে সেটা কখনো পর্যন্ত ৬.৭ শতাংশ হতে পারে।
তবে এক, দুই ও তিন বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করলে আপনার সুদের পরিমাণ ৫.৫ শতাংশই থাকছে। এছাড়া পাঁচ বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করলে আপনার সুদের পরিমাণ 6.7 শতাংশ থাকবে। তবে আপনি যদি পাঁচ বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করেন তাহলে আপনার সুবিধা অনেকটাই বেশি পাবেন তার কারণ পাঁচ বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করলে সুদের পরিমাণ বেশি পাচ্ছেন একদিকে অন্যদিকে আয়করে ছাড় পাচ্ছেন (Bank vs Post Office).
তাই আপনি যদি ইতিমধ্যে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে থাকেন তাহলে আপনার সুদে লাভ হওয়ার জন্য আপনি একবার পোস্ট অফিসে ফিক্সড ডিপোজিট করে দেখতে পারেন। আপনি যদি বেশি সুদ চান এছাড়া মেয়াদ শেষে মোটা টাকার পরিমান চান তাহলে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পোস্ট অফিস একমাত্র কাম্য।
এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য চোখ রাখুন এই পেজে।
Written by Shampa Debnath.