যেসমস্ত জনগন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও বাংলা আবাস যোজনায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘরের টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বা করবেন, তাদের জন্য জরুরী ঘোষণা। PM Awas Yojana, Bangla Awas Yojana আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট ও ঘরের টাকা ব্যাংক একাউন্টে কবে ঢুকবে জেনে নিন।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা কবে ঢুকবে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের জনগণের জন্য যে সকল কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলার বাড়ি প্রকল্প। রাজ্যের যে সমস্ত মানুষের একটি মাথার উপর শক্ত ছাদ নেই, রাজ্যের নিম্ন ও দরিদ্র পরিবারগুলোকে একটি স্থায়ী আশ্রয়ের জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামাঞ্চলে যে সমস্ত মাটির ও বেড়ার বাড়ি রয়েছে, বন্যা ও ঝড় হলে তাদের ঘরের মধ্যে থাকা সমস্যার হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট
এই সমস্ত পরিবারগুলোকে মাথার ওপর শক্ত ছাদ গড়ে দেওয়ার জন্য সচেষ্ট হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে ছাদের বাড়ি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে কিছু উপভোক্তার কাছ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাই আপাতত বন্ধ রয়েছে এই প্রকল্পের অনুদান দেওয়া। এদিকে বাংলার নিম্ন, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যাতে একটা আস্তানা পেতে পারে, তাদের জন্যই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলা আবাস যোজনায় টাকার পরিমাণ
এই প্রকল্পে দুই কিস্তিতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে যে সমস্ত উপভোক্তারা বাংলা বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় ছিলেন, তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার ১৪,৭৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ইতিমধ্যে ১২ লক্ষ পরিবার প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছেন। আরও ১৬ লক্ষ পরিবার প্রথম কিস্তির টাকা পাবেন। এই ১৬ লক্ষ পরিবারকে খুব শীঘ্রই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
কিছুদিন আগেও সন্দেশখালীর একটি প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে আরও ১৬ লক্ষ পরিবারের জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পাঠানো হবে। এছাড়াও প্রথম তালিকায় প্রকাশিত আবেদনকারীদের দ্বিতীয় কিস্তির বাকি টাকাও দিয়ে দেওয়া হবে দেড় বছরের মধ্যে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির জন্য সম্পূর্ণ অনুদান দিয়ে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের অনুদান দেওয়া বন্ধের জন্য, রাজ্য সরকারের রাজকোষ থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য। রাজ্যের দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যাতে মাথার উপর একটা শক্ত ছাদ পেতে পারে তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন, ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা কেটেছে দেখুন, গ্রাহকদের বড় ঝটকা।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার নিম্ন ও দরিদ্র জনগণ অনেকটাই আর্থিক সহায়তা পাবে, সেই সাথে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
বাংলা বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় তালিকায় যারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন তাই তাঁরা নিশ্চিন্ত থাকুন, দেড় বছরের মধ্যেও আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছে যাবে।
নতুন করে আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট
১৬ লক্ষ অতিরিক্ত যোগ্য পরিবারকে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন, তাহলে সত্যতা প্রমাণ হল বাজেট পেশর সময় রাজ্য সরকার। এই ১৬ লক্ষ পরিবারের অনুদান পরিবার পিছু পর্যায়ের প্রথম কিস্তির টাকা, পরিবার পিছু ৬০,০০০ এইবছর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রদান করা হবে বলে বাজেটে জানানো হয়েছে। ২০২১-২২ পর্যন্ত এই স্কিমে ৩৪,১৮,৯৫৯ টি বাড়ি তৈরি হয়।
আগামীকাল আরও অনেক লক্ষ বাড়ি তৈরি হবে এমনটি আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ের বাড়ি তৈরির সাথে সাথে তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনগুলোকে নিয়েও বিচার বিবেচনা করা হবে যা পরবর্তীতে সেগুলিও তালিকায় প্রকাশ পাবে এমনটাও আশ্বাস দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেট পেশের পরই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আবেদনকারীদের মুখে অনেকটাই হাসি ফুটেছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের হাত ধরে রাজ্যের গরিব-দরিদ্র মানুষদের মাথার ওপর ছাদ তৈরি হবে, যা বাংলায় এক নজির গড়বে আগামীতে।