Bangla Shasya Bima বা বাংলা শস্য বীমা টাকা কবে দেবে 2024। কারা পাবে এই প্রকল্পের টাকা। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প স্ট্যাটাস চেক।
কেন্দ্রের পিএম কিষান যোজনার (PM Kisan) মতো পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Prakalpa). আর রাজ্যের কৃষকদের জন্য বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। ২০১১ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে নানা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কারিগরি, খাদ্য সমস্ত ক্ষেত্রেই, এক কথায় সমাজের সমস্ত মানুষের কথা মাথায় রেখে, অনেক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম এই প্রকল্প বাংলার শস্য বীমা প্রকল্প।
Bangla Shasya Bima Eligibity Form Fill Up
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে, ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে। তবে ফসলের ক্ষতির নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী এই অর্থ প্রদান করা হবে কৃষকদের। নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং ডিভিসি ছাড়া জল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কবলিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিনবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল ঢুকেছে। উত্তরবঙ্গে অনেক জায়গায় ধস নামার কথাও পরিলক্ষিত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জন্য রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র সরকার ৪৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
ফসলের ক্ষতিপূরণ পেতে কী করতে হবে?
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কৃষকদের নির্দিষ্ট ফ্রম পূরণ করতে হয়, এবং প্রয়োজনীয় নথি সেই ফ্রম এর সাথে জমা দিতে হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত বা কৃষি দপ্তরে। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ খরচ রাজ্য সরকার বহন করে, ফলে এই প্রকল্প কৃষক বন্ধুদের জন্য একদম বিনামূল্যে।
কোন কোন কৃষক এই ক্ষতিপূরণ পাবেন?
২০২৪ খারিফ মৌসুমে এই প্রকল্পে যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের এই অর্থ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশেষত, দক্ষিনবঙ্গের অনেক কৃষকদের এই মুহূর্তে ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়েছেন।
Bangla Shasya Bima Application ID Status
ফসলের ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার স্ট্যাটাস জানতে
১. প্রথমে এর অফিসিয়াল লিংকে ক্লিক করুন।
২. এরপরে আপনি Bajaj Allanz এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
৩. সেখানে “ With Bank Details Search” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৪. এরপর সাল, সিজন, রাজ্যের নাম, জেলার নাম, ব্লকের নাম, গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম, ব্যাংকের নাম, কৃষকদের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর এবং কৃষকের (Farmers) নাম প্রদান করে সার্চ করুন।
৫. যদি ওই কৃষক বীমা করে থাকেন, তাহলে তার সমস্ত বীমা সংক্রান্ত তথ্য দেখা যাবে।
৬. “ Claim Details” ঘরে যে টাকা দেখানো হবে, সেই টাকাই কৃষক তার ব্যাংক একাউন্টে অয়াবে।
৭. যদি “Claims Under Process” লেখা থাকে, তাহলে খুব শীঘ্রই কৃষক ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন।
৮. আর “Claim Not Reported Yet” দেখালে, সেই কৃষক ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন না।
এই ভাবেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা তাঁদের ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ জেনে নিতে পারবেন এবং আর্থিক সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন।
আরও পড়ুন, কৃষকদের জন্য সরকার নিয়ে আসলো নতুন এই স্কিম, এর মাধ্যমে তাদের 1000 টাকা করে দেওয়া হবে
আবেদন প্রক্রিয়া ও সময়সীমা
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে ফসলের ক্ষতিপূরণের সুবিধা পান, সেই জন্য এই প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়ার সময়সীমা ৩০শে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ফসলের ক্ষতির কারণে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হওয়া কৃষকরা এখন এই প্রকল্পে মাধ্যমে সুরক্ষা পাচ্ছেন। যারা এখনো আবেদন করেনিন, তাঁরা দ্রুত ফ্রম পূরণ করে জমা নিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করাতে পারেন।