বাংলার নতুন প্রকল্প। আবেদন করলেই পেতে পারেন 80,000 টাকা Instant Loan. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। তার মধ্যে রয়েছে মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার, বয়স্কদের জন্য বার্ধক্য ভাতা, মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ছেলেদের জন্য যুবশ্রী এমন আরও। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে কিছুদিন হল আর মমতা ব্যানার্জির তৃতীয় বারের মতন পশ্চিমবঙ্গের সরকার হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
Apply Hawkers Scheme for Instant Loan in West Bengal
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে একাধিক ভাতা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার আর এবার ফের বড় পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় হকার উচ্ছেদের খবর। বিভিন্ন শহর এলাকার ফুটপাত ঘেঁষে এই সমস্ত হকাররা খাবারের দোকান কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা জন্য দোকান গড়ে তুলেছিল (Instant Loan).
কিন্তু এভাবে রাস্তার পাশে দোকান গড়ে তোলার জন্য ক্রেতাদের ভিড় রাস্তা পর্যন্ত চলে আসতো যার ফলে গাড়ি চলাচলে খুবই অসুবিধা হতো। অনেকদিন ধরে বলাতেও সে সমস্ত হকাররা কোনরকম কর্ণপাত করেননি এতদিন শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন প্রশাসনকে। এবং সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসন অ্যাকশন নেওয়া শুরু করেন (Instant Loan).
গত কয়েকদিন ধরেই প্রশাসনের তরফে রাস্তার পাশে হকারদের উচ্ছেদ করার অভিযান চলে। কিন্তু এমন অবস্থায় হকারদের অবস্থা শোচনীয়। তাদের রুজি রোজগারের প্রধান মাধ্যম ছিল এই ব্যবসা। তাই হঠাৎ এভাবে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে তাদের পেট চলবে এই ভেবে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এমন হঠাৎ উচ্ছেদ করার ঘটনায় হকাররা একত্রিত হয়ে অনেক জায়গা আন্দোলন শুরু করেছেন।
কিন্তু এই আন্দোলন যাতে বড়সড় রূপ না নেয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সিদ্ধান্ত নেন এবং সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাস্তা থেকে সরে আসার জন্য বা অন্যত্র ব্যবসা শুরু করার জন্য হকারদের একটা মাস সময় দেওয়া হচ্ছে সেই সাথে তাদের এমন হঠাৎ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য সরকার একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছেন।
কি সেই প্রকল্প? সেই প্রকল্পের মাধ্যমে এই হকারদের কি সুবিধা হবে? সমস্ত কিছু জানাবো আজকের এই প্রতিবেদনে। বিস্তারিত জানতে প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যেহেতু হকারদের মূল অর্থ রোজগারের উৎস ছিল এই ব্যবসা তাই তাদের পৌরসভা এলাকার রাস্তার পাশ দিয়ে সরে যাওয়াতে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়।
এদিকে সামনেই দূর্গাৎসব আর দুর্গোৎসবে প্রত্যেক ব্যবসায়ীরা চায় নিজের অর্থ অনুযায়ী বেশি করে সামগ্রী কিনতে কিন্তু অনেকেরই সেরকম আর্থিক স্বচ্ছতা থাকে না বলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা হয়ে ওঠে না। এদিকে তাদের রাস্তা দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবসাটাই সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত পৌরসভা এলাকায় যারা ব্যবসা করে সে সমস্ত হকারদের জন্য একটি প্রকল্প ব্যবস্থা করেছেন।
এই নয়া প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করা হকারদের ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। যে সকল হকাররা পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করেন তারা মূলত এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকবেন। এর সুবিধা পেতে হলে নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভায় আবেদন জানাতে হবে হকারদের (Instant Loan).
কি সুবিধা দেওয়া হবে
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বমোট হকারদের ৮০ হাজার টাকা ঋণ বা Instant Loan হিসেবে দেওয়া হবে। তবে সম্পূর্ণ টাকা একসাথে দেওয়া হবে না। ভাগে ভাগে তিন দফায় এই টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। প্রথম দফার ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে ব্যবসা শুরু করার জন্য। সেই ব্যবসায় লাভ উঠিয়ে সেই টাকা শোধ করতে হবে হকারদের তবেই দ্বিতীয় দফায়
২০,০০০ টাকা দেওয়া হবে ঠিক একই ভাবে এই টাকাও শোধ করা সম্পন্ন হলে ৫০ হাজার টাকা পাবেন হকাররা।
এই প্রকল্পের ঘোষণা হওয়ার ফলে হকারদের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে এসেছে। পৌরসভা এলাকার যে সমস্ত হকাররা রয়েছেন তারা খুব তাড়াতাড়ি পৌরসভায় গিয়ে এই প্রকল্পের নাম অন্তর্ভুক্ত করুন। তাহলেই দূর্গাপুজোর আগেই আপনারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে যাবেন।
Written by Shampa Debnath.