সরকার কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এবং কৃষিঋণ তথা Agricultural Loan নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার কৃষকদের কৃষি ঋণ মুকুবের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের অর্থও প্রদান করা হবে। নাবার্ডের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কৃষি ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
কৃষিঋণ মুকুবের সিদ্ধান্ত
- কৃষকেরা যদি ঋণ নিয়ে ফসলের চাষ করেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হন, তাহলে সরকার ঋণের একটি অংশ মুকুব করে দেয়।
- বিশেষ করে যারা Bangla Shasya Bima বা কৃষি বীমা করিয়েছেন, তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।
- ফসল নষ্ট হলে বা ভালো ফলন না হলে কৃষকদের ঋণ ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কৃষিঋণ বৃদ্ধি
- কৃষিঋণের পরিমাণ ৭৫ হাজার কোটি থেকে বেড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- নাবার্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের লক্ষ্যমাত্রা ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা।
- কৃষি পরিকাঠামো ও অন্যান্য খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও সহায়তা
- ধান উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও তৈলবীজ ও ডাল উৎপাদনে পিছিয়ে আছে, তাই এ ক্ষেত্রে ঋণ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- ছোট শিল্পের জন্য ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ, এবং শিক্ষা ও বাড়ি নির্মাণের জন্য ৫৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ করা হয়েছে।
- স্টেট লেভেল ব্যাঙ্ক কমিটি-র সদস্যদের আরও সক্রিয়ভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ ও বীমা সুবিধা
- বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি বা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফসলের ক্ষতি হলে সরকার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
- Bangla Shasya Bima বা কৃষি বিমা থাকলে দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া যায়।
- ফসল সংরক্ষণ ও উন্নত মানের বীজ উৎপাদনের জন্য সরকার নতুন ঋণ প্রকল্প চালু করেছে।
আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রকল্পে প্রতিমাসে টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। পুরুষ মহিলা সবাই আবেদন করুন।
উপসংহার
কৃষকদের জন্য সরকার যে নতুন ঋণ মুকুব ও ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনা করেছে, তা তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ, যা ভবিষ্যতে কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
🔹 আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করুন! 🚜🌾