E Shram Card: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন তার মধ্যে E shram card প্রকল্প একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সমস্ত অসংগঠনকারী কর্মী রয়েছেন যাদের কর্মজীবনের অবসর গ্রহণের পর কোনরকম পেনশনের ব্যবস্থা থাকে না সে সমস্ত অসংগঠনকারী কর্মী বা ব্যবসায়ীদের কর্ম জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পরে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেনশনের মতন দেওয়া হয়।
E Shram Card – ই শ্রম কার্ড
এই প্রকল্পে আবেদনের মাধ্যমে প্রতি মাসে আবেদনকারীরা ৩০০০ টাকা করে পেয়ে যাবেন। একবার আবেদন করলেই প্রতি মাসে পেনশন পাবেন। যে সমস্ত ব্যবসায়ী ও অসংগঠনকারী কর্মীরা রয়েছেন যাদের বয়সকালে কোনো রকম কর্ম ক্ষমতা থাকে না সেই সময় খাওয়া পড়ার জন্য যে অর্থ কিংবা বার্ধক্যজনিত অসুখের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয় এ সমস্ত অর্থের সংস্থান যাতে সঠিকভাবে একজন মানুষ ব্যয় করতে পারেন তার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের এই E Shram কার্ড খুবই জনপ্রিয় উঠেছে।
আপনি যদি এই প্রকল্পে আবেদন করতে ইচ্ছুক হন তাহলে দেখে নিন কত বয়স থেকে আবেদন করতে পারবেন? কি কি সুবিধা পাবেন এবং কিভাবে আবেদন করবেন ? ১৬ বছর বয়স হলে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন আপনি। তবে পেনশনের সুযোগ পাবেন ৬০ বছর বয়স পার হলে। পেনশন মাফিক ৩০০০ টাকা করে পেয়ে যাবেন প্রতি মাসে। এখনো পর্যন্ত দেশের ২০ কোটি মানুষ এ প্রকল্পের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন যার মধ্যে দুই কোটি মানুষকে ইতিমধ্যে এই সুবিধা প্রদান করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।
যে সুবিধা গুলো রয়েছে
১) এই প্রকল্পটিতে আবেদন করতে পারবেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সংগঠনকারী কর্মীরা যাদের স্থায়ী কোন রোজগার নেই।
২) আবেদন করার পর সেই ব্যক্তির যখন ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হবে তখন থেকে ৩০০০ টাকা নিশ্চিত পেনশন পাবেন প্রতিমাসে।
৩) ই শ্রম কার্ড সারা ভারতে যে কোনো জায়গায় গ্র্যান্ড হয়।
৪) আপনি যদি ই শ্রম কার্ডে নাম নথিভূক্ত করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার আওতায় নাম তুলে দেওয়া হবে।
৫) PMSBY এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি যদি দুর্ঘটনা জনিত কারণে নিজের প্রাণ হারান বা পূর্ণাঙ্গ ভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন তবে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা বীমা প্রদান করা হয়।
৬) আর সেই ব্যক্তি যদি আংশিক আহত হন তবে ১ লক্ষ টাকা বীমা পায় তার পরিবার।
৭) E Shram Card মালিকরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ও সুবিধা পেয়ে থাকেন। যার মাধ্যমে কারোর যদি পাকা বাড়ি বা নির্দিষ্ট বাসস্থান না থাকে সেটি বানিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দেয় সরকার।
৮) যদি কোন গর্ভবতী মহিলার E Shram Card থাকে এবং তিনি কাজ করতে সক্ষম না হন, সেই পরিস্থিতিতেও সরকার ওই মহিলার পরিবারকে নিয়মিতভাবে প্রতিমাসে বেতন প্রদান করে।
৯) শ্রমিক কার্ডের আবেদনকারীরা তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্যেও অর্থ সাহায্য পাবেন সরকারের তরফ থেকে।
এর সুবিধা কারা কারা পাবে
১) যে সমস্ত ব্যক্তি কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসা, ভাগচাষ বা অন্যান্য অসংগঠিত কাজের সাথে যুক্ত তাদেরই এই সুবিধা দেওয়া হয়।
২) যারা সরকারের কাছে নিয়মিত আয়কর জমা দেন তারা এখানে আবেদন করতে পারবেন না।
৩) আবেদনকারী EPFO কিম্বা ESIC এর মেম্বার হলে এই E Shram Card সুবিধা নিতে পারবেন না।
৪) আবেদনকারীর বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৬ থেকে সর্বোচ্চ ৫৯ বছর।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
যে সমস্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে
- আধার কার্ড
- এক কপি সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটো।
- PAN Card
- ব্যাংক একাউন্টের বিবরন।
- মোবাইল নাম্বার।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। DA বৃদ্ধির পর এবার জোড়া সুখবর পাবেন
আবেদন পদ্ধতি
আবেদন করতে সম্পূর্ণ অনলাইন মাধ্যমে।
১) প্রথমে ই শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
২) এরপর পেজের ডান পাশে থাকা New Registration বাটানে ক্লিক করুন।
৩) ‘Registration on E Labour অপশনে ক্লিক করুন।
৪) এরপর সেই মোবাইল নম্বরটি এন্টার করুন যেটিতে আধার নম্বর সংযুক্ত আছে।
৫) তারপর Send OTP তে ক্লিক করুন।
৬) ওটিপি লিখে Submit বাটন ক্লিক করুন।
৭) এখানে একটি আবেদন পত্র দেখা যাবে। সেটিতে আপনার ব্যক্তিগত, কাজের এবং ব্যাঙ্কের বিবরণ সঠিক ভাবে পূরণ করুন।
৮) এরপর Submit বাটন ক্লিক করলেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
আপনিও যদি এখনো E shram card প্রকল্প আবেদন না করে থাকেন তাহলে এখনি এই প্রকল্পে আবেদন করে এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করুন
Written by Shampa Debnath.