Mudra Yojana: প্রধান মন্ত্রী মুদ্রা যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে যেভাবে বেকারত্ব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে তার জন্য যাতে বেকার যুবকরা ব্যবসার মাধ্যমে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে লোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Mudra Yojana – মুদ্রা যোজনা
এছাড়া নতুন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় ঋণ দেওয়ার পরিমাণ দ্বিগুণ করেছেন তিনি। এতদিন এই স্কিমে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা লোন দিত সরকার। কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার পর এই অর্থ দ্বিগুণ করা হয়েছে। এইবার থেকে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা প্রকল্পে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন যুবক-যুবতীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা চালু করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার। এমন অনেক পরিবারের যুবক যুবতী রয়েছেন যাদের ছোটখাটো ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য মূলধনটুকু পর্যন্ত নেই। তাই সে সমস্ত যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য এর মুদ্রা যোজনা চালু করা হয়। অনেক ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থান থেকে লোন দেওয়া হয় কিন্তু তার জন্য কিছু বন্ধক রাখতে হয় কিন্তু এই প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার একটাই সুবিধা কোন কিছুর জামানত না রেখে লোন নিতে পারবেন যুবক যুবতীরা।
আপনি যদি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে চান কিংবা ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে কৃষি ও কর্পোরেট ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় যে লোন দেওয়া হয় তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি শিশু, একটি কিশোর ও তরুণ।
এই প্রকল্পে কারা আবেদন যোগ্য
১) শুধুমাত্র ভারতীয়রাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
২) আবেদনকারীর ঋণখেলাপির ইতিহাস থাকলে চলবে না।
৩) বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার উর্ধ্বে।
৪) আবেদনকারীকে একটি ব্যবসা শুরু করতে হবে।
এই প্রকল্পের সুবিধা
১) এই স্কিমে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রসেসিং ফি নেই।
২)আপনি ৫ বছরের মধ্যে লোনটি শোধ করতে পারবেন। যদি কেউ ৫ বছরের মধ্যে ঋণ টাকা মিটিয়ে দিতে না পারেন, তা হলে আরও ৫ বছর সময় পাবেন তিনি।
৩)এই যোজনার দ্বিতীয় সুবিধা হল, এতে গ্রাহককে কোনও সুদ দিতে হবে না। মুদ্রা কার্ডের মাধ্যমে তিনি যে পরিমাণ টাকা তুলবেন এবং খরচ করবেন, কেবলমাত্র সেই অংকের উপরেও নেওয়া হবে সুদ।
এই স্কিমের লোন নিলে কিভাবে আবেদন করবেন
এই স্কিমে ঋণ পেতে হলে আবেদনকারীকে প্রথমে ব্যবসায় নামার পরিকল্পনা করতে হবে। সেই মতো যাবতীয় নথি ব্যাঙ্কে জমা করবেন তিনি। এক্ষেত্রে ইচ্ছুক প্রার্থীর বিজনেস প্ল্যান জানতে চাইতে পারে ব্যাঙ্ক। শুধু তাই নয়, ওই যুবক বা যুবতী যে ব্যবসা শুরু করতে চলেছেন, তার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার অধিকার রয়েছে তাঁদের। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় লোনের জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে যোজনার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটটির হোমপেজে মিলবে ঋণের ৩টে ক্যাটেগরি।
যার মধ্যে থেকে আবেদনকারীকে একটি অপশন নির্বাচন করতে হবে। তিনি যে অপশানটি বেছে নেবেন, সেখানে ক্লিক করলেই খুলে যাবে আবেদনের ফর্ম। যেটা ডাউনলোড করে নিতে হবে। আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বাড়ির ঠিকানা ও ব্যবসার অফিস/দোকানের ঠিকানার প্রমাণপত্র, আয়কর রিটার্নের নথি, সেলফ ট্যাক্স রিটার্নের নথির ফোটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি এগুলো সমেত আপনার কাছাকাছি ব্যাংকে জমা করুন।
আরও পড়ুন, সরকারের নতুন প্রকল্পে বিদ্যুৎ বিলে বড়সড় ছাড় দেওয়া হবে, আরও অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হবে
সমস্ত ডকুমেন্ট ও আবেদন ফর্ম জমা করার এক মাসের মধ্যে লোন স্যাংসন হয়ে যাবে এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বাজেটের ভিত্তিতে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হবে তাই এই ঋণের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা আরও বেশি সম্প্রসারিত করার সুযোগ পাবেন। এই সমস্ত দরকারি প্রকল্প বা অন্যান্য সমস্ত খবরের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।
Written by Shampa Debnath.