কেন্দ্র সরকার কিংবা রাজ্য সরকার জনসাধারণের সুবিধার্তে বিভিন্ন রকম প্রকল্প ব্যবস্থা করেছেন তার মধ্যে অন্যতম Bhagyalakshmi Scheme, তাছাড়া আরও করছেন এরি মধ্যে একটা নতুন প্রকল্প এনেছে তার নাম ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনা। সেই প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে জনসাধারণ আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।
Bhagyalakshmi Scheme Online Form Fill Up
আরও নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের জনসাধারণ অনেকটা উপকৃত হতে চলেছে। এমনই একটি নতুন প্রকল্প হল ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনা বা Bhagyalakshmi Scheme. এই প্রকল্পে আবেদন করলে পেয়ে যাবেন ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা। আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হবে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রকল্পের সুবিধা, আবেদনের যোগ্যতা, আমাদের পদ্ধতি সহ নানান তথ্য।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
কন্যার জন্মকে আগেকার যুগে ততটা ভালো চোখে দেখতনা সমাজের মানুষ। যেহেতু কন্যা সন্তান মানেই পরের ঘরে যেতেই হবে তাই পরিবারের মানুষ কন্যা সন্তানের জন্য পড়াশুনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে চাইতেন না। যদিও বর্তমানে সেই অবস্থা অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবুও এখনো গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় কন্যা সন্তানকে অল্প পড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
কিংবা পড়াশুনা না করিয়ে ঘরের কাজ করানো হয়। সেই অবস্থা থেকে মানুষের মানসিকতার বিকাশ করার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার কন্যার জন্মের পর পিতামাতাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে এমনটাই ঘোষনা করেন। সেই অর্থ দিয়ে কন্যাদের পড়াশোনা করাতে হবে। মূল কথা কন্যা সন্তানের সার্বিক উন্নয়নে জন্যই চালু করা হয়েছে ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনা প্রকল্প বা Bhagyalakshmi Scheme.
প্রকল্পের সুবিধা
এই প্রকল্পের অধীনে, সরকার কন্যা সন্তানের জন্মের সময় 50 হাজার টাকার বন্ড দেয়, তারপরে কন্যার বয়স 21 বছর পূর্ণ হলে এই বন্ডটি 2 লাখ টাকার যোগ্য হয়ে যাবে এবং কন্যা সন্তানের জন্মদানকারী মা 51,000 টাকা পাবেন। এছাড়া কন্যা সন্তানের ক্লাস অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোন শ্রেণীতে পড়লে কত টাকা দেওয়া হবে নিচে দিয়ে দেওয়া হলো,
- 6 শ্রেণীতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ – 3000 টাকা
- 8 শ্রেণীতে দেওয়া অর্থের পরিমাণ – 5000 টাকা
- দশম শ্রেণীতে দেওয়া অর্থের পরিমাণ– 7000 টাকা
- এবং 8 শ্রেণীতে দেওয়া অর্থের পরিমাণ 8000 টাকা।
আবেদনের যোগ্যতা
১) একই পরিবারের দুটি কন্যা সন্তানের জন্য এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে।
২) এ প্রকল্পে আবেদনের জন্য পরিবারের মাসিক আয় 20000 টাকার কম হতে হবে।
৩) আবেদনকারীদের মেয়ের জন্মের 6 মাসের মধ্যে এই প্রকল্পে আবেদন করতে হবে।
৪) আবেদনের জন্য কন্যা সন্তানের বার্থ সার্টফিকেট মূল নথি হিসাবে পরিগণিত হবে। এছাড়াও পিতামাতার আধার কার্ড, মেয়ের আধার কার্ড, মেয়ের বার্থ সার্টফিকেট, পিতামাতার বসবাসের শংসাপত্র, পিতামাতার আয়ের শংসাপত্র, পিতামাতার জাত শংসাপত্র, পিতামাতার চাকরির শংসাপত্র, কন্যার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ ইত্যাদি প্রয়োজন হবে।
৫) উত্তর প্রদেশ সরকার যেহেতু এই প্রকল্প চালু করেছেন তাই একমাত্র উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন পদ্ধতি
অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে এই প্রকল্পের জন্য।
(১) প্রথমে অভিভাবকদের ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার বা Bhagyalakshmi Scheme অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
(২) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হোম পেজে গিয়ে New Registration অপশনে ক্লিক করতে হবে।
আরও পড়ুন, ঘরে ঘরে আটা তৈরির মেশিন দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে, আবেদন করবেন কিভাবে?
(৩) এরপর New Registration এবং ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনা অনলাইন ফর্মে ক্লিক করুন।
(৪) এরপর ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনা আবেদনপত্রটি দেখা যাবে সেটি সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিগুলি স্ক্যান করে আপলোড করে সাবমিট করলেই আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে।
আপনি যদি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা হন এবং আপনার যদি কন্যা সন্তান থাকে এবং উপরে দেওয়া শর্তগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় আপনি অবশ্যই এই ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনার বা Bhagyalakshmi Scheme আবেদন করুন এবং এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করুন। এমন আরো অন্যান্য প্রকল্পের সম্বন্ধে জানতে আমাদের পেজটি ফলো করে সাথে থাকুন।
Written by Shampa Debnath.