Golden Passport – গোল্ডেন পাসপোর্ট কি? এই পাসপোর্ট হাতে পেলেই ভাগ্য খুলে যাবে। কিভাবে করবেন?

Golden Passport – বিদেশযাত্রা থেকে বৈদেশিক বাণিজ্যে আরও সুবিধা এনে দিলো গোল্ডেন পাসপোর্ট, আর কি কি সুবিধা পাবেন জানুন বিস্তারিত।

এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট (Golden Passport) প্রয়োজন হয়। আর এই পাসপোর্ট করার অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে। তবে পাসপোর্ট প্রকারভেদে অনেকরকম আছে। সবথেকে উৎকৃষ্ট ও উন্নতমানের পাসপোর্ট হলো গোল্ডেন পাসপোর্ট। সব দেশে এই পাসপোর্ট দেওয়া হয়না। এমনকি দেশের সব নাগরিককেও এই পাসপোর্ট দেওয়ার নিয়ম নেই। এই পাসপোর্টের মাধ্যমে একজন অন্য দেশের নাগরিক সেই দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারে। এছাড়া এই পাসপোর্টের জন্য তারা সেই দেশে কোনো সম্পত্তি বিনিয়োগ বা ক্রয় করতে পারেন।

অভিজাত শিক্ষা, রাজনৈতিক কারণে নতুন দেশে বসবাসের জন্য ধনী ব্যক্তিদের কাছে গোল্ডেন পাসপোর্ট (Golden Passport) বিক্রি একটি বড় বৈশ্বিক বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০২২ সালের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, সারা বিশ্বে গোল্ডেন পাসপোর্টের জন্য অনেক আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে সব থেকে বেশি আবেদন আসে ভারত থেকে আসে। তার পরিমাণ ৯.৪ শতাংশ। ভারতীয় নাগরিকদের কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় বাইরের দেশে। ভারতীয় পাসপোর্ট থাকলে মোটামুটি ৬০টি দেশে প্রবেশ করা যায় ভিসা ছাড়াই।

বর্তমান সময়ে কোন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করলে আপনি হবেন অধিক লাভবান, দেখে নিন এক নজরে।

সেক্ষেত্রে তাদের ততটা সমস্যায় পড়তে হয়না। তবে সেন্ট কিটস, নেভিস বা অন্য ক্যারিবিয়ান দেশগুলির পাসপোর্টে প্রায় ১৫৭টি দেশে দেওয়া হয় না প্রবেশাধিকার। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ম ও গ্রেট ব্রিটেনের মতো দেশও রয়েছে। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে জার্মানি, সুইজেন, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালিতেও দেওয়া হয়ে থাকে ব্যবসায়িক সুবিধা।

ফলে সেখানে ভারতীয়রা যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। অন্যদিকে, চিনে বাণিজ্য করতে চাইলে ডোমিনিকা ও গ্রেনেডা পাসপোর্টে একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়। এই দেশগুলিতে পাওয়া যায় কর-মুক্ত পরিবেশ। গ্লোবাল ইনকাম এর ক্ষেত্রেও দিতে হয় না কোনও কর। ক্য়াপিটাল গ্রেন, উপহার, সম্পত্তি, উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রেও দিতে হয় না কোনও কর।

সুইডিশ বা পতুর্গিজ পাসপোর্ট (Golden Passport) থাকলে মধ্য-প্রাচ্য ও ইউরোপে সহজে বাণিজ্য করা হয়। কানাডার পাসপোর্ট থাকলে উত্তর আমেরিকায় যাওয়া সহজ হয়। এছাড়া ব্যাবসার জন্য সবচেয়ে প্রসিদ্দ জায়গা হলো দুবাই। এছাড়াও গোল্ডেন পাসপোর্ট থাকলে সারা বিশ্বে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারণের কাজ অনেক সহজ হয়। বিনিয়োগ বা ব্যবসা পরিচালনার কাজে অন্যান্য দেশের সহায়তা পাওয়া যায়। অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় ঝুঁকি কমে অনেকটাই।

তবে যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি তাঁরাই শুধুমাত্র লাভবান হতে পারেন এই ব্যবসায়। একমাত্র ধনী উচ্চবিত্তরা এই গোল্ডেন পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশে বাণিজ্য করার দুঃসাহস দেখায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানি করার সময় তুরস্ক তার দেশের নাগরিকদের কর ও শুল্ক ব্যবস্থায় বিশেষ সুবিধা দেয়।

গোল্ডেন পাসপোর্ট (Golden Passport) সারা বিশ্বের বাজার খুঁজে বিনিয়োগ আকর্ষণ করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড অ্য়াসোসিয়েশন (বিটিএ)-এর ডিরেক্টর দীপা শর্মার মতে, গোল্ডেন পাসপোর্ট বিশ্বের দরবারে ভারতীয়দের জন্য ব্যাবসা বাণিজ্যের পথ উন্মুক্ত করেছে। ধনী ও উচ্চবিত্তদের কাছে এই গোল্ডেন পাসপোর্ট একটি স্বর্গের দুয়ারের সমান।
Written by Shampa Debnath.

আধার কার্ড দেখতে বাড়িতে আসছে সরকারি আধার কর্মীরা। নিয়ম কানুন জেনে নিন।

Leave a Comment