Post Office – এই কাজটি না করলে 9 কোটি পোস্ট অফিস একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। কি করতে হবে জেনে নিন।

Post Office Account CIF এ আধার লিংক নেই, পোস্ট অফিস গ্রাহকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

আঁধার কার্ড (Aadhaar Card) একটি অতি গুরুত্তপূর্ণ নথি। বর্তমানে Post Office এর সকল বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দরকারি নথি হিসাবে পরিগনিত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশ যেন Post office বা ডাকঘর গ্রাহকদের রাতের ঘুম ও চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ৬ অক্টোবর এক নির্দেশিকায় দেশের প্রত্যেক পোস্টাল সার্কেলকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, কোনও গ্রাহকের সিআইএফে (কাস্টমার ইনফর্মেশন ফাইল) আধার জমা না পড়লে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হবে। পোস্ট অফিসের প্রত্যেক গ্রাহকের একটি করে সিআইএফ (CIF Number) থাকা আবশ্যিক। কোন কোন সিআইএফে এখনও অবধি আধার জমা পড়েনি, তার তালিকা তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সার্কেলে।

সমীক্ষা করে দেখা গেছে প্রায় ৪৩ শতাংশ ক্ষেত্রে আধার জমা হয়নি। দেশজুড়ে Post Office Account এর সিআইএফের সংখ্যা যেখানে ২২ কোটি ৫২ লক্ষ ৮০ হাজার, সেখানে মাত্র ৯ কোটি ৭৭ লক্ষ ৯২ হাজার ক্ষেত্রে আধার জমা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় ১৩ কোটি গ্রাহকের লেনদেন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে। তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতন অবস্থা। কারণ লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে আর্থিক দিক দিয়ে অভূতপূর্ব ক্ষতি।

পশ্চিমবঙ্গে মোট  ২ কোটি ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার সিআইএফ (Post Office) রয়েছে। সেই জায়গায় মাত্র ৯১ লক্ষ ২ হাজার সিআইএফে আধার জমা হয়েছে। ফলে এ রাজ্যেও এক কোটির বেশি গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হতে চলেছেন। তাদেরও জীবন এখন অনিশ্চিত। বিভাগীয় কর্তারা বলছেন, আর্থিক প্রতারণা রুখতেই এই ব্যবস্থা। কারণ আধার কার্ড ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে আইডেন্টিফাই করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের এত কড়াকড়ি।তবে এর ফলে গ্রাহকের হয়রানি যে কয়েকগুণ বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

এমন পরিস্তিতির জন্য দায়ী কি শুধুই গ্রাহক এখন সেই প্রশ্নই উঠছে। প্রশ্ন না ওঠার ও কোনো কারণ নেই।অনেক দিন ধরে তাদের হুশিয়ার করা হয়েছে আধার জমা করার জন্য কিন্তু বেশিরভাগ গ্রাহক কোনো হেলদোল করেনি। এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক কঠোর নিয়ম চালু করলে তাদের উদ্বেগএর শেষ নেই। কসেই মতো গ্রাহকদের বড় অংশ তা জমা করেছেন। তাহলে কেন এই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান?

ফিক্সড ডিপোজিটে SBI, HDFC এর থেকেও বেশি সুদ দিচ্ছে জনপ্রিয় এই ব্যাংক, জেনে নিন সুদের হার কত।

পশ্চিমবঙ্গের স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস বলেন, ঠিক মত পরিচালনার অভাব, দুর্বল পরিকাঠামো, কর্মহীন কর্মক্ষেত্র বহু গ্রাহক আধার জমা করলেও অনেক ক্ষেত্রে তা নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যারে আপলোড হয়নি। তাই আধার দেওয়া সত্ত্বেও তার নাম ইনপুট হয়নি। ডাকবিভাগের এই অপদার্থতার খেসারত এখন দিতে হবে গ্রাহক।

গ্রাহকদের কি করতে হবে?

কোনও অ্যাকাউন্ট বা স্কিমে টাকা জমা করার সময় একই ব্যক্তির নামে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সিআইএফ (Post Office) চালু করার অনুমতি কেউ দিয়েছে অতীতে। এখন টাকা ফেরতের সময় বিভিন্ন অজুহাত সামনে আনা হচ্ছে। ডাকবিভাগ সূত্রে আরও খবর, দেশের প্রায় সাড়ে ২২ কোটি সিআইএফের মধ্যে আধার সহ কেওয়াইসি সংক্রান্ত কোনও নথিই জমা নেই ১০ কোটি ৯৩ লক্ষের।

সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টগুলি কীভাবে চালু রেখেছে ডাক বিভাগ? তাহলে এক্ষেত্রে শুধু গ্রাহক নয়, যারা ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ কোনো উপদেষ্টা যে কিনা আধার ছাড়াও নাম ইনপুট করে দিয়েছেন। এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক আধার নিয়ে কড়াকড়ি করায় সমস্ত ভুল ত্রুটি হলো । এদিকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলো ডাকঘরের গ্রাহকরা।
Written by Shampa Debnath

টেট পরীক্ষা নিয়ে জরুরী বিজ্ঞপ্তি। এই ভুল করলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবেনা। সবাই এটাই চাইছিলো।

Leave a Comment