Madhyamik – মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আগে কখনও এমনটা ঘটেনি।

Madhyamik – মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড়োসড়ো পদক্ষেপ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, কি পদক্ষেপ নিল পর্ষদ? জানতে হলে পড়ুন প্রতিবেদনটি।

মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik) স্কুল জীবনের প্রথম বড়ো পরীক্ষা। যেই পরীক্ষার জন্য সবার একটা স্বপ্ন থাকে। আর প্রত্যেক বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে থেকেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কিছু নিয়ম বলে দেয় প্রতিটি স্কুলের জন্য। আর এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে আর কিছু মাস বাকি। আর ফাইনাল এক্সামের আগে হয় নিজের স্কুলেই টেস্ট এক্সাম।

সেই এক্সাম নিয়ে পর্ষদ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে এই শনিবার পর্ষদের অধিনস্ত স্কুলগুলোকে। নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি স্কুলের হেড টিচারকে তিনি যেন তার স্কুলের মাধ্যমিকের (Madhyamik) টেস্ট এক্সামের প্রশ্ন পত্রের দিকে একটু নজর দেন। সেখানে যেন কোনো বিতর্কিত মূলক প্রশ্ন না থাকে। যা নিয়ে পর্ষদ কে অবমাননায় পড়তে হয়।

পুজোর আগেই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। 10 দিনের মধ্যে জয়েনিং।

এমন নির্দেশিকার কারণ হলো, গত বছর কিছু স্কুলের মাধ্যমিক (Madhyamik) টেস্টের প্রশ্ন পত্র নিয়ে সমালোচনা করা হয়। কিছু প্রশ্ন বিতর্কিত মূলক থাকে। যা নিয়ে পর্ষদকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তাই এইবার আর সময়ের অপেক্ষা না করে এখনই আগেভাগে স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষককে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে তিনি যেন সব প্রশ্ন দেখেশুনে তারপর পর্ষদকে ইমেল করে দেয়। পর্ষদ প্রশ্ন পত্র দেখে কোনো ভুল পেলে যাতে স্কুলগুলোর ওপর স্টেপ নিতে পারে।

গত বছর কিছু স্কুলের প্রশ্ন কে ঘিরে উত্তাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। যেমন মালদহের একটি মিশনারী স্কুলে ভূগোল প্রশ্ন কে ঘিরে উত্তাল পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়। কারণ প্রশ্নে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে “আজাদ কাশ্মীর” নামে অভিহিত করতে বলা হয়। আর এইজন্য অনেকেই এই প্রশ্নের বিরোধিতা করেন যা নিয়ে পর্ষদকে অনেক মানুষ কে জবাববিহি করতে হয়।

এছাড়া নন্দীগ্রামের একটি স্কুলের অঙ্কের প্রশ্নপত্রে পাটিগণিতের এক অঙ্কে “শুভেন্দু” ও “নওশাদে”-র মধ্যে ভাগাভাগির উল্লেখ করা হয়েছিল। এদিকে, বর্তমান সময়ে ওই দুই নামেই রাজ্যে দু’জন বড় রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। শুভেন্দু হলেন বিজেপি দলের বিধায়ক। তিনি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও। পাশাপাশি, নওশাদ সিদ্দিকি হলেন বিধানসভায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)-এর একমাত্র বিধায়ক।

রাজ্যে এবার পাকাপাকিভাবে টোটো চালানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি। এই নিয়ম না মানলে বাতিল হবে সেই টোটো গাড়ি।

এমতাবস্থায়, রাজ্যের বিরোধী দলের দুই বিধায়কের নাম সরাসরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে চলে আসায় বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল পর্ষদকে। আর এবার কোনো প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক চায়না পর্ষদ। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া এই প্রশ্নের যাতে কোনো গরমিল না হয়, কোনো প্রশ্ন যেন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন না হয় সেইদিকে হুশিয়ারি করার জন্য বা সতর্কতা করার জন্য এখন থেকেই পর্ষদ অধিনস্ত স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
Written by Shampa Debnath

Leave a Comment