Online Earning : কীভাবে করবেন জানুন বিস্তারিত।
হাতের স্মার্টফোনে কি দিনের বেশিরভাগ সময় মুখ গুজে বসে থাকেন? সব সময়ই অনলাইন (Online Earning) রয়েছেন? সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে চ্যাটিং, ওয়েব ব্রাউজিং, ইউটিউব ভিডিও, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার দেখেই চলেছেন। যদি স্মার্টফোনে সব সময় অনলাইন (All Time Online) থাকার প্রবণতা থাকে, তাহলে সেটাকেই হাতিয়ার করে বহু টাকা রোজগারের পথ বের (Online Earning From Home) করে নিতে পারেন।
বর্তমানে প্রযুক্তি বদলেছে, হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন, সারা দুনিয়া একেবারে নিমেষের মধ্যে চোখের সামনে, আর সব সময় যদি মোবাইল ফোনের মধ্যে অনলাইন থাকার আগ্রহ থাকে, তাহলে সেটাকেই আপনার রোজগারের পথ হিসেবে বেছে নিন। বেকার বসে না থেকে ঘরে বসেই মোবাইল ফোনকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার টাকা রোজগার (Online Earning) করুন। এখানে সেরকমই কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হবে। যেখানে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা রোজগারের উপায় রয়েছে।
“জয় বাংলা” তে ধুঁকছে বাংলা, সংক্রমণ এড়াতে কি কি করনীয়, দেখেনিন এক নজরে।
১. ই-কমার্স ওয়েবসাইট (E-COMMERCE Website):
এখন আর এই ব্যবসাটি সম্বন্ধে নতুন করে খুব একটা বলার প্রয়োজন নেই। অনেকেই জানেন। কারণ অনলাইনে অর্ডার করে পণ্য কেনার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট (Online Earning) খুলে ফেলতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে কিছু Technical Idea থাকার প্রয়োজন রয়েছে। ডিজাইনিং এবং প্রোগ্রামিং সম্বন্ধে জ্ঞান থাকতে হবে। এবার ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলে জিনিসপত্র বিক্রির পাশাপাশি Logistic Support দিয়ে পেমেন্ট গেটওয়ের সুবিধা দিতে হবে গ্রাহকদের। বিভিন্ন সময়ে ডিসকাউন্ট এবং কুপনসহ বিভিন্ন ধরনের অফার যদি দিতে পারেন, তাহলে আপনার ব্যবসা খুব সহজেই উন্নতি করতে পারবে। আর আপনিও ভাল টাকার রোজগার করতে পারবেন।
২. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant):
বর্তমান সময়ে দিন দিন এই ভার্চুয়াল সহকারীর কাজের পরিধি বেড়েই চলেছে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করার জন্য কোথাও যেতে হবে না। ঘরে বসেই অনলাইনে এই ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো রোজগারের সুযোগও রয়েছে। তবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে গেলে ইংরেজি এবং কম্পিউটার জ্ঞান থাকতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কপি লেখা, ডেটা এন্ট্রি, ইমেলে যোগাযোগ করা, রিসার্চ এর কাজ করা, এই ধরনের বিভিন্ন ধরনের কাজ একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টকে করতে হয়। ভার্চুয়াল সহকারীর কাজ করে ভালো টাকা রোজগারের সুযোগ রয়েছে।
৩. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি (Digital Marketing Agency):
আর আগের মত শুধু সাইনবোর্ড বা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে কোম্পানির ব্যবসার (Online Earning) প্রচার করা হয় না। টেকনোলজি এগিয়ে গিয়েছে। মানুষ এখন অধিকাংশ সময় অনলাইন নির্ভর। ফলে অনলাইনে মার্কেটিংয়ের বিষয়টিও দিনে দিনে জেটগতিতে বেড়ে চলেছে। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়া, ব্যবসার প্রচার এবং প্রসার ঘটানো এখন সমস্ত কোম্পানিই করে থাকে। ছোট থেকে বড়, যেকোনো ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রেই অনলাইন মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে নিজেই ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি খুলে ফেলতে পারেন।
কেন্দ্রে বসছে 8th পে কমিশন, জোড়া বেতন বৃদ্ধি। পশ্চিমবঙ্গের 7th পে কমিশন কবে?
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সী খুলে ব্যবসায়ীদের হয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারের কাজ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing) ওয়েবসাইট মেকিং এর কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের অনলাইনের কাজ করতে হবে। এই সম্পর্কিত জ্ঞান থাকার প্রয়োজন। ধীরে ধীরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবসা বাড়তে থাকবে। কারণ এই মুহূর্তে সকলেই ডিজিটাল মার্কেটিং নির্ভর হয়ে পড়েছে।