25 কেজি নয়, এই মাস থেকে রেশন কার্ড থাকলেই গ্রাহকরা পাবেন 150 কেজি চাল।

সরকারের বড় ঘোষণা। এবার থেকে রেশন কার্ড থাকলে গ্রাহকরা পাবে ১৫০ কিলো চাল। রেশন কার্ড গ্রাহকদের জন্য সুখবর নিয়ে হাজির হল সরকার। এবার থেকে আপনি পেতে চলেছেন ১৫০ কিলো চাল। কবে থেকে কারা এই সুযোগ পাবেন দেখে নিন একবার। সারা বিশ্বে নানা বিধ সমস্যার কারনে সমস্ত জিনিসের দাম আকাশ নয় মহাকাশ ছোঁয়া সেটা আমরা বলতেই পারি।

কোন কোন রেশন কার্ড থাকলে পাবেন এই সুবিধা, জানতে হলে পড়ুন বিস্তারিত।

এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যে সিদ্ধ ভাত খেয়ে বেঁচে থাকবে সেটাও সম্ভব হয়ে উঠছে না। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যান অনুসারে আমাদের দেশে চালের দাম ১০০ টাকা প্রতি কেজিতে পৌঁছে গেছে। নানা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের মতে এই দাম ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতি থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে রেশন কার্ড ধারকদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে আসা হল।

সারাদেশে বদলে গেল রেশন তোলার নিয়ম, এই কাজ না করলে আগামী মাস থেকে রেশন পাবেন না।

১৯৯৭ সাল থেকে ভারতে সকল গরিব নাগরিকদের খাদ্যের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই “FAIR PRIZE SHOP” মানে রেশন দোকান চালু করা হয়। বিগত ২৫ বছর ধরে এই সমাজ ব্যবস্থা চলে আসছে। এখনও পর্যন্ত দেশের ৭৭ কোটি জনতা এই রেশন প্রকল্পের অন্তর্গত বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। দেশের কোন নাগরিক প্রত্যেক দিন অন্ন গ্রহন করতে পারে সেই বিষয় সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার।

আজকে আমরা ভারতবর্ষের এক অঙ্গ রাজ্য ছত্তিসগড় এর কথা বলতে চলেছি। এই রাজ্যের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই রাজ্যে বসবাস কারি সকল BPL – BELOW POVERTY RATE অর্থাৎ গরিব সীমার নিচে এই ধরনের সকল নাগরিককে ১৩৫ কিলো পর্যন্ত চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে করা এক সার্ভে অনুসারে দেশের জনসংখ্যার ২৭% এর বেশি লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন। সংখ্যায় বলতে হলে ৩৭ কোটি ৬২ লাখ ১৮ হাজার লোক এই সীমার নিচে অবস্থান করেন।

ছত্তিশগড় রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কারন হল এই রাজ্যের জনসংখ্যার ৪৫% মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। এই পরিকল্পনা অনুসারে রাজ্যের সকল মানুষকে ১৩৫ – ১৫০ কিলো চাল দেওয়া হবে যেটার পরিমান আগে ৩৫ – ৫০ কিলো ছিল। এই রাজ্যের শুধুমাত্র BPL রেশন কার্ড ধারিদের এই সুবিধা দেওয়া হবে।

LPG রান্নার গ্যাসের দাম কমাতে বাধ্য হল সরকার, জেনে নিন কবে থেকে চালু হবে নতুন ভর্তুকি।

করোনা ভাইরাস মহামারীর রুপ নেওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে “গরিব কল্যাণ যোজনা” শুরু করা হয়েছিল। সেই প্রকল্প চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। এই বাকি দুই মাস এই প্রকল্পের সুবিধা রেশন দোকান থেকে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ছত্তিসগড় সরকার।

Leave a Comment