সরকারি চাকরিতে শান্তির দিন শেষ, আগামী বছর থেকে লাগু হবে নতুন শ্রম নীতি। সরকারি চাকরি মানে সুখের চাকরি এরকন ধারনা অনেকের। এবার সেই ধারনা বদলাতে চলেছে। জেনে নিন ঠিক কি বদল হতে চলেছে। চাকরিটা রাজ্য সরকারি হোক বা কেন্দ্রীয় সরকারি সকলের চিন্তাধারাটা অনেকটা একই ধরনের যেমন ১০ টার জায়গায় ১১ টা বা ১২ টা বা ১ টাতে অফিসে ঢুকলেও অসুবিধা নেই।
নতুন শ্রম নীতিতে সরকারি কর্মচারীদের কপালে ভাঁজ পরতে চলেছে।
আবার কাজ শেষের আগে বেরিয়ে যাওয়া। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় ইচ্ছে মতো ছুটি নিয়ে নেওয়া। এগুল যেন সরকারি চাকরির একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যারা এরকম চিন্তা করতেন সেটা ভুল। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল থেকে বদলাতে চলেছে এই সকল নিয়ম। ২০২৩ সাল থেকে নতুন শ্রম নীতি দেশের সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের স্বস্তির দিন শেষ হতে চলেছে বলে মানছে স্বয়ং অনেক সরকারি কর্মী সংগঠন।
আগে কর্মদক্ষতা না দেখে কে কত দিন ধরে কাজ করছে তারই ভিত্তিতে প্রত্যেকের উঁচু পদের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু এখন নতুন শ্রম নীতিতে সেটা অতীত এবার প্রাইভেট চাকরির মতো প্রত্যেকের কাজের ভিত্তিতে পদোন্নতি করা হবে। কে কত সিনিয়র সেটা দেখা হবে না। ঠিক করে কাজ না করলে যেমন প্রাইভেট চাকরিতে চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও চাকরি চলে যেতে পারে। এই খবর সামনে আসতেই রাতের ঘুম উড়ে গেছে অনেকের।
DA নিয়ে সরকার তরফে বড় খবর, আগামী মাস থেকে 7% বাড়বে মহার্ঘ্য ভাতা।
কি কারনে এমন হতে পারে জেনে নিন। এর পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শ্রম নীতি। এই শ্রম নীতিকে নিজেদের মতো করে সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের বক্তব্য অনুসারে এর ফলে কর্মে পারদর্শিতা আসবে। কেউ আর কর্ম বিমুখ হবে না। এত দিন শোনা যাচ্ছিল শুধুমাত্র নিজস্ব চাকরির ক্ষেত্রে এই নিয়ম আসতে চলেছে। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে জানা গেছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও এই শ্রম নীতি লাগু হবে।
নতুন শ্রম নীতিতে কি বলা আছে জেনে নিনঃ-
নতুন শ্রমনীতি বা লেবার কোডের নিয়ম অনুসারে এই নিয়ম কোন সরকারি কর্মী সে দেশের যে কোনো রাজ্যের হোক বা কেন্দ্রীয় কর্মচারী তারা সকলেই এই নীতির অধিনে পড়তে চলেছে। এনারা যদি এই নিয়ম না মানেন, দেরি করে কাজে আসেন, কোন দুর্নীতিতে জরিয়ে থাকেন তাছাড়াও কেউ ফাঁকি মারলে তাকে বিনা কোন ক্ষতিপূরণ দিয়ে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করতে হবে। নইলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
বলে রাখা ভাল যাদের কে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করানো হবে। তাদের বাকি চাকরির সময়ের প্রতি বছরের দুই মাস টাকা দেওয়া হবে মাইনে হিসাবে। কিন্তু যাদেরকে কোন শাস্তি হিসাবে কাজ ছেড়ে দিতে হবে। তারা এক টাকাও আর পাবেনা বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আরও এক নতুন নিয়ম এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেটা হল যে কোনো সময় বা পরিস্থিতিতে তিন মাসের বেতন ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিয়ে কাজ থেকে বের করে দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে বলে যানা গিয়েছে।
এই সকল নিয়ম সামনে আসার পর মনে করা হচ্ছে “সকল সরকারি কর্মচারীদের সুখের দিন শেষ হতে চলেছে” বলে মত একাধিক বিশেষজ্ঞ মহলের। এখন আর প্রাইভেট আর সরকারি কর্মীদের কোন পার্থক্য থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে কর্মের বিচারে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তার রেল মন্ত্রকে তার এই শ্রম নীতি লাগু করেছেন।
এর ফল তার থেকে জানতে চাইলে তার মত অনুসারে এই নীতি লাগু হওয়ার পর থেকে ১৪০ জনের মতো রেল আধিকারিকরা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করতে বাধ্য হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে দুর্নীতি গ্রস্ত, পিছিয়ে পরা এবং শাস্তি প্রাপ্ত রেল কর্তারা আছেন। এছাড়াও মন্ত্রীর কড়া মত বাকি কর্মচারীরাও সতর্ক হয়ে যান। নইলে তাদের এরকম পরিস্থিতি হতে পারে।
দেখভালের দায়িত্ব কার?