লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় খবর। জানানো হলো নবান্ন তরফ থেকে। কিন্তু কেনো এইরকমের সিদ্ধান্ত? আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী বলে পরিচিত সব রাজ্যবাসীর কাছে। রাজ্যবাসীর জন্য বিভিন্ন সময় প্রকল্প নিয়ে সে চমক দিয়েছে তিনি। এতে বেশ সাহায্য হয় রাজ্যবাসীর। এরকমই কিছু প্রকল্প হলো কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্য সাথী ইত্যাদি, এর মধ্যে অন্যতম “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প”।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এই তালিকায় আপনারও নাম নেই তো?
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের জেনারেল কাস্টের মহিলারা 500 অন্যান্যরা 1000 পেতেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই বাড়তি মূল্যের বাজারে 500 টাকা থেকে বাড়িয়ে জেনারেল মহিলাদের 500 টাকা থেকে বাড়িয়ে 1500 টাকা এবং অন্যান্যদের 2000 টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন থেকে তারা আর এই প্রকল্পে টাকা পাবেন না। কেন এমন হতে পারে দেখে নিন বিস্তারিত ভাবে কারণগুলি।
কিছু দিন আগে রাজ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে নানান অভিযোগ সামনে আসছিলো। এই সকল বিষয় সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসে সরকার সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানান কোন ধরণের দুর্নীতি চলবে না। তিনি তার বিভিন্ন জেলা সফরেও একই কথা বলেছেন বার বার। তার আরও বক্তব্য যে যার যেই সুযোগ পাওয়ার কথা সেই যেন পায়। অন্য কেউ যেন সেই জিনিস ছিনিয়ে না নিতে পারে।
এমনকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও নানা দুর্নীতি সামনে এসেছে। তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক এক প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। যেখানে রাজ্যের সাধারণ মহিলাদের 500 টাকা এবং তফশিলি জাতির মহিলাদের 1000 টাকা করে মাসিক সাহায্য দেওয়া হবে। কিন্তু এই স্বপ্নের প্রকল্পেও বাদ সারছে দুর্নীতির মায়াজাল।
বেশ কিছু জায়গা থেকে খবর আসছে যে, অনেক জায়গায় ভুল পরিচয় দিয়ে মানে- ভুল বয়স, ভুল শংসাপত্র দেখিয়ে মিথ্যা ভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই সমস্ত বিষয় সামনে আসার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নতুন কিছু নিয়ম বলা হয়েছে। সেই নিয়ম গুলি পালন করলে আপনি পাবেন প্রতিমাসে আর্থিক সাহায্য নইলে আপনি পাবেন না। দেখে নিন সেই সকল নিয়মের বিষয়ে।
১) যেই সকল মহিলারা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অন্য কোন প্রকল্পের আওতায় আগের থেকে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন তারা এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুযোগ এখন থেকে আর পাবেন না।
২) যেই সকল মহিলারা নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না নিয়ে অন্য ব্যক্তির একাউন্টের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছে তারা এবার থেকে আর টাকা পাবেনা। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী মহিলাকে নিজেদের নামে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
৩) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মুল নিয়ম অনুসারে এই প্রকল্পের অধীনে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা 500 টাকা করে ও তফসিলি মহিলারা 1000 টাকা করে পাবে। কিন্তু বেশ কিছু মহিলারা নিজেদের ভুয়ো জাতির শংসাপত্র বানিয়ে 500 টাকার বদলে 1000 টাকা করে পাচ্ছেন। এই বিষয় সামনে আসার পর প্রশাসনের তরফে আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই বিষয় দেখে নিয়ে এই ধরনের সুবিধা প্রাপ্তদের নাম বাতিল করতে হবে।
৪) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে কোন সরকারী চাকুরীজীবী মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছু মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে প্রতি মাসে এই সুযোগ নিচ্ছে। তারা আর এই আর্থিক সাহায্য পাবে না।
নারীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প, আবেদন করলেই মিলবে 6000 টাকা।
৫) মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আসতে চাইলে তাকে আধার কার্ড ও পান কার্ড না থাকার জন্য তাকে ফেরানো যাবে না তার আবেদন গ্রহন করতে হবে। কিন্তু ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে তাদের KYC করতে গেলে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। সেই জন্য পরোক্ষ ভাবে যাদের আধার কার্ড নেই তারা এই প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
৬) বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেক মহিলারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর KYC না থাকলে হবে না
বাড়ি বসে দেখে নিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কে কে পাচ্ছেন, আর কে কে পাবেন না।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অনেক ভুয়ো প্রার্থীরা তাদের নাম দিয়ে মিথ্যা ভাবে টাকা পাচ্ছে। এই ধরনের অভিযোগ সারা রাজ্য জুড়ে পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত খবর অনুসারে যাদের কোন ধরনের মিথ্যে সামনে আসবে আগামী মাস থেকে তারা আর এই প্রকল্পের থেকে আর্থিক সাহায্য পাবেন না।